শঙ্কর রায়, উত্তর দিনাজপুর: অজ্ঞাত পরিচয় গৃহবধূর গলাকাটা অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল ইটাহারে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুকরাকুন্ডা এলাকায়। সাতসকালে স্থানীয়রাই এলাকার রাইসমিল লাগোয়া মাঠে দেহটিকে পড়ে থাকতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গেই ভিড় জমে যায়। খবর যায় থানাতে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ইটাহার থানার পুলিশ। তবে বছর কুড়ির গৃহবধূর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান ধর্ষণের পরেই খুন হয়েছেন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, কুকরাকুন্ডা এলাকার রাইসমিলের পিছনেই রয়েছে বড় মাঠ। সেই মাঠেই গলাকাটা অবস্থায় গৃহবধূর অর্ধনগ্ন দেহটি পড়ে ছিল। তবে মুখ দেখে কেউই তাঁকে শনাক্ত করতে পারেনি। পোশাক আশাক স্থানীয়দের মতো নয়। খবরে পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি জানিয়েছেন, অন্য কোথাও খুন করে এখানে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে। খুনের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গৃহবধূকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ঘটনাস্থলে ফেলে গেছে দুষ্কৃতীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে খুনের প্রমাণস্বরূপ কোনও সূত্র এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলের ২০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। স্বভাবতই বাইরে থেকে খুন করে এখানে দেহ ফেলে যাওয়াটাও অসম্ভব নয়। তবে কে বা কারা কী কারণে খুন করেছে এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে এলে খুনের কিনরা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পুলিশ। এদিকে পাড়ার মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় গহবধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.