সোমনাথ পাল, বনগাঁ: পনের দাবিতে শ্বশুরবাড়ি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক গৃহবধূ৷ মৃতার নাম, মানবিকা গোলদার, বাড়ি গাইঘাটা থানার ঘোজা গ্রামে৷ মহিলার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামী শুভঙ্কর গোলদার ও শাশুড়ি সাবিত্রী গোলদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
[মুর্শিদাবাদে কী করে মাদক পাচার করে চিনারা? পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী]
জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে অভিযুক্ত স্বামী শুভঙ্কর গোলদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৃতা মানবিকার৷ একটি পুত্র সন্তানও হয় তাঁদের৷কিন্তু মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর পণের দাবিতে অকথ্য অত্যাচার চালাত শাশুড়ি ও স্বামী৷ প্রথমে মুখ বন্ধ করে সব সহ্য করে নিলেও পরে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন মৃতা৷ তখনই আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা৷ অবশেষে, গত ২৯ জুন শ্বশুর বাড়িতেই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার করেন মানবিকা৷
[পরিচ্ছন্নতায় জোর, মিড-ডে মিলের জন্যে তৈরি হবে ডাইনিং হল]
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাঁরাই ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথমে মানবিকাকে দেখতে পান৷ উদ্ধার করে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল৷ সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে৷ কিন্তু সোমবার সেখানে মৃত্যু হয় মানবিকা গোলদারের৷ আত্মহত্যার ঘটনার পরেই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ওই দিনই তাদের তোলা হয় বনগাঁ মহকুমা আদালতে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.