Advertisement
Advertisement

শ্বশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূ খুন, চাঞ্চল্য সুভাষগ্রামে

গ্রেপ্তার শ্বশুর ও স্বামী।

House wife allegedly killed by father-in-law in Sonarpur
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:August 9, 2018 11:58 am
  • Updated:August 9, 2018 11:58 am  

দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শ্বশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন হতে হল গৃহবধূকে। অভিযোগ, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই গৃহবধূকে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির শ্বশুরের বিরুদ্ধে। প্রায় দিনই বাড়িতে স্বামী না থাকলে গৃহবধূর সুপ্রিয়াদেবীকে উত্ত্যক্ত করত শ্বশুর তপন মণ্ডল। তবে শ্বশুরের এই অত্যাচার মুখ বুজে মেনে নেননি তিনি। সেই অপরাধেই প্রাণ গেল তাঁর। মৃতদেহের মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের বাপের বাড়ির লোকজন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘাতক শ্বশুর ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের গোবিন্দপুর লাঙলবেড়িয়ায়।

জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে সুজন মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় সুপ্রিয়া ঘরামির। পেশায় নির্মাণ শ্রমিক সুজনের সঙ্গে প্রেমের বিয়ে সুপ্রিয়ার। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রেম। সেই প্রেম থেকেই বিয়ে। এরমধ্যে চার বছর কেটেছে। আড়াই বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁদের। সব ঠিকঠাকই চলছিল, গোল বাধালো শ্বশুর। অভিযোগ, সুজন না থাকলে বাড়ি থেকে বের হত না সুপ্রিয়াদেবীর শ্বশুর। সারাদিন গৃহবধূর আশপাশে ঘুরে ঘুরে বেড়াত। বেশ কয়েকবার অস্বস্তির কথা জানালেও কোনও ফল হয়নি। ফাঁকতাল বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করত বলে অভিযোগ। বারবারই এড়িয়ে বেঁচেছেন সুপ্রিয়াদেবী। শ্বশুরের কুনজরের বিষয়টি রীতা সর্দারকেও জানান ওই গৃহবধূ। এরপরেই প্রতিহিংসায় ফুঁসছিল অভিযুক্ত। বুধবার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গৃহবধূ উপরে চড়াও হয় শ্বশুর। শিশুকন্যার সামনেই ধর্ষিতা হন ওই গৃহবধূ। এই ঘটনা পাঁচকান হলে খুনেরও হুমকি দেয় শ্বশুররূপী অসুর। যদিও চুপ করে থাকেননি নির্যাতিতা। শেষপর্যন্ত নির্যাতিতার মুখ বন্ধ করতেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করে অভিযুক্ত শ্বশুর।
 

[চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই যুবক, ভিনরাজ্যে কাজ হারানোর ভয়ে শ্রমিকরা]

প্রতিবেশীদের মারফত মেয়ের অসুস্থতার খবর পৌঁছায় বাপের বাড়ি গঙ্গাজোয়ারায়। চিন্তিত বাবা-মা এসে দেখেন মেয়েকে বারান্দায় কাপড় চাপা দিয়ে রেখেছে। কী হয়েছে বুঝতে বাকি ছিল না। সঙ্গেসঙ্গেই সোনারপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সুপ্রিয়াদেবীকে স্থানীয় সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা দেহের পাশাপাশি মুখে ও পায়েও আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। এরপরেই রাতে মৃতের বাবা গণেশ ঘরামি সোনারপুর থানায় স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সকালেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement