এই নোটিসই উধাও হয়ে গিয়েছে রবিবার।
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার : বক্সাকে ঘিরে থাকা হোটেল, রিসর্ট, হোম স্টে বন্ধের জন্য নোটিস জারি হয় দিন কয়েক আগে। সেই সরকারি নোটিস রাতের অন্ধকারে উধাও হয়ে গেল। আর সেই ঘিরে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।
কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল? কোথায় গেল সেই নোটিস? তাই নিয়ে চর্চাও চলছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কেউই কিছু বলতে চাইছেন না। বৃহস্পতিবার রাজাভাতখাওয়া এলাকায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গেটে বাংলা ও ইংরাজি দুই ভাষাতেই হোটেল, রিসর্ট, হোম স্টে, রেস্তরাঁ বন্ধের নোটিস লাগিয়েছিল বনদপ্তর। সেই নোটিস ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল ওই এলাকায়। রবিবারের ঘটনায় আরও বেশি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, নবান্নের নির্দেশে হোটেল, রেস্তরাঁ, হোমস্টে বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার করছে বনদপ্তর। যদিও সেই বিষয়ে পরিষ্কার কোনও বার্তা এখনও সামনে আসেনি।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বক্সাতে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদনহীন করে বন্ধ করতে হবে। সেই নির্দেশের পরেই ওই নোটিস লাগানো হয়েছিল। তাহলে কি সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না? আদালতের নির্দেশ তোয়াক্কা না করেই এই নোটিস সরিয়ে দেওয়া হল? সেইসব প্রশ্নও উঠছে। বড়দিনের আগে ভরা পর্যটন মরশুমে ভিড় করছেন সাধারণ পর্যটকরা। তাঁদের মধ্যেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে গোটা ঘটনায়।
কিন্তু কেন এমন নির্দেশ? ২০২২ সালের ৫ মে গ্রিন ট্রাইবুনাল (ইস্টার্ন জোন, কলকাতা) পরিবেশপ্রেমী সুভাষ দত্তের করা মামলায় বক্সাতে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ীরা। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রিন ট্রাইবুনালের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ৪ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আর বাড়েনি বলে দাবি বনদপ্তরের।
উল্লেখ্য, ৭৬০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। এই বনাঞ্চলের মধ্যে জয়ন্তী, বক্সা, লেপচাখা, ভুটান ঘাট, রায়মাটাং, নিমতির মতো উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান রয়েছে। এই সব এলাকায় হোম স্টে ও রিসোর্ট মিলিয়ে শতাধিক পর্যটকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.