Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফণী

আয়লার স্মৃতি এখনও টাটকা, ফণী আতঙ্কে ফের ত্রস্ত সুন্দরবন

নদীবেষ্টিত সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় জারি লাল সতর্কতা।

Horror Of Cyclone Aila returns in Sunderban, people panicked
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:May 3, 2019 9:06 am
  • Updated:May 3, 2019 9:16 am  

স্টাফ রিপোর্টার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  ভয়াবহ আয়লার স্মৃতি এখনও টাটকা। আর সেই স্মৃতির মধ্যেই বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে চলেছে ফণী। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীবেষ্টিত সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে সব মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে বা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খাঁড়িতে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য ঝড়খালি ও সুন্দরবন কোস্টাল থানা-সহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা মাটির বাড়িতে বসবাস করেন, তাঁদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কায় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। সেই কারণে ভাঙড়, ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গাতে এখনও বোরো ধান না পাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। 

[ আরও পড়ুন: আর বেশি দূরে নেই ফণী, প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পুরী]

Advertisement

২০০৯ সালে আয়লা ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। নদী বাঁধ ভেঙে জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছিল শতাধিক গ্রাম। ক্ষতি হয়েছিল কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। ক্যানিং মহকুমার গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়া, সোনাগাঁ, লাহিড়িপুর, মোল্লাখালি, কুমিরমারি, আমলামেথি, রাঙাবেলিয়া, বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি, নফরগঞ্জ, জ্যোতিষপুর, ভরতগড়-সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। জয়নগরের একাধিক ব্লকও আয়লার হাত থেকে রেহাই পায়নি। আয়লার সেই স্মৃতির মধ্যেই ফণী আতঙ্কে ভুগছেন সুন্দরবন এলাকার মানুষজন। ফণীর মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। মহকুমা শাসক অদিতি চৌধুরী বলেন, “যে সমস্ত মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে বা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী, খাঁড়িতে মাছ ও কাঁকড়া সংগ্রহ করতে গিয়েছেন, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন পরিবারকে নদীর ধার থেকে এবং মাটির বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রিপল, শুকনো খাবার, জামাকাপড় মজুত রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের দপ্তর, মহকুমা সদর দপ্তর ও ব্লক অফিসগুলিতে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও।” এরমধ্যেই আবার লোকসভা ভোট চলছে। বিভিন্ন এলাকার ভিভিপ্যাড পৌঁছে গিয়েছে। সেই সব ভিভিপ্যাটের সুরক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement