সুমন করাতি, হুগলি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছিলেন। আহত হয়েও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করেছিলেন। সেই ভয়াবহ দিনের আতঙ্ক কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন হুগলির ধনেখালির দুই যুবক তন্ময় ঘোষ ও সৌণক সাহা। সেদিনের কথা কোনওদিন ভুলবেন না বলেই জানান তন্ময়।
গত ১৭ জুন, ঘড়ির কাঁটায় তখন পৌনে নটা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে রাঙাপানি ও চাটারহাট স্টেশনের মাঝে নিজবাড়িতে রেললাইনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। পিছন থেকে এসে ধাক্কা দেয় মালগাড়ি। তাতেই পিছনের দুটি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মালগাড়ির উপরে উঠে যায় কামরা দুটি।
জখম হন অনেকেই। সেই তালিকায় ছিলেন হুগলির ধনেখালির তন্ময় ঘোষ ও সৌণক সাহা। অসুস্থ শরীরেও আর পাঁচজন বিপদগ্রস্তদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তন্ময়। এর পর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দুজনে। শনিবার তাঁরা ধনেখালির বাড়িতে ফেরেন।
তাঁদের বাড়িতে দেখা করতে যান বিধায়ক অসীমা পাত্র। দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে আহতদের সঙ্গে কথা বলে যখন জানতে পারেন ধনেখালির দুই যুবক চিকিৎসাধীন। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে অসীমা পাত্রকে ফোন করেন মমতা। জখমদের পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দেন। বিধায়ক বিডিও, ওসিকে নিয়ে আহতদের বাড়িতে যান। বিপদগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্যও করেন।
দুর্ঘটনায় জখম তন্ময় ঘোষ জানান,”সেদিন ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর বেঁচে ফিরব ভাবিনি। পিছন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মালগাড়ি ধাক্কা মারে। জেনারেল কামরায় ছিলাম। হঠাৎই জোরে একটি ঝাঁকুনি লাগে। ট্রেনটি লাইন থেকে নেমে যায়। আর কিছু বুঝতে পারিনি। জখম অবস্থায় পাঁচজনকে ওই কামরা থেকে উদ্ধার করি। বন্ধু সৌণক পড়ে গিয়েছিল। তাঁকে উদ্ধার করি। এমন সময় রাঙাপানি এলাকার স্থানীয়রা চলে আসেন। তাঁরা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেদিনের অভিজ্ঞতা কখনই ভুলতে পারব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.