দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ২০ বছরের দাম্পত্যের অশান্তি ছায়া৷ আদালতের মধ্যস্থতায় স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের ইতি৷ কিন্তু, স্ত্রী যখন শ্বশুরবাড়ি থেকে পণের সামগ্রী ফেরত আনতে গেলেন, তখন বাধল গণ্ডগোল৷ ওই গৃহবধূ তো বটেই, জনতার হাতে আক্রান্ত পুলিশও৷ রণক্ষেত্র হুগলির পুরশুড়া৷
[শিশুমৃত্যুর অভিযোগে কাঠগড়ায় টাটা মেডিক্যাল কলেজ, শাস্তির দাবিতে সরব পরিবার]
বছর কুড়ি আগে বিয়ে হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মৌমিতা দাস ও হুগলির পুরশুড়ার স্বপন দাসের৷ দম্পতির এক ছেলে, এক মেয়ে৷ সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হয় স্বপন ও মৌমিতার৷ বিয়ের সময় বাপের বাড়ি থেকে পণ হিসেবে দেওয়া সামগ্রী মৌমিতাকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরামবাগ মহকুমা আদালত৷ আদালতের নির্দেশে পণের সামগ্রী ফেরত নিতে পুরশুড়ার পশ্চিমপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেম মৌমিতা৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরশুড়া থানার এসআই তন্ময় বাগ ও মহিলা কনস্টেবল ঝুমা মাইতি৷ সদ্য প্রাক্তন স্ত্রীকে দেখামাত্রই মেজাজ হারান স্বপন দাস৷ তিনি ও তাঁর প্রতিবেশীরা মৌমিতার উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ৷ রেহাই পাননি পুলিশকর্মীরাও৷ তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়৷ পুরশুড়া থানার এসআই তন্ময় বাগ জানিয়েছেন, মৌমিতা দাস ও চারজন পুলিশকর্মীর উপর চড়াও হন ৬০ থেকে ৭০ জন৷ মহিলা কনস্টেবল ঝুমা মাইতিকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে মারধর করেন তাঁরা৷ মাথা ফেটে যায় ওই মহিলা পুলিশকর্মীর৷ পুরশুড়া থানার পুলিশকর্মী ও প্রাক্তন স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত স্বপন দাস৷ তাঁর দাবি, ঘটনার সময়ে তিনি দোকানে ছিলেন৷ পুলিশে এসেছে শুনে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফেরেন৷ দেখেন, বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র বের করা হচ্ছে৷ বাধা দিলে উলটে পুলিশকর্মীরাই তাঁকে মারধর করেন৷
[নকল সোনা জমা দিয়েই ব্যাংক থেকে ঋণ, বড়সড় প্রতারণা চক্রের হদিশ বীরভূমে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.