দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। কলেজের হস্টেল থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের লোকের অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে নিয়মিত ব়্যাগিং করা হত ওই পড়ুয়াকে। মদ ও গাঁজা খেতে রাজি না হওয়ার তাঁকে একঘরে করে দিয়েছিলেন সিনিয়র ছাত্ররা। মৃতের দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়ির লোকেরা। তদন্তে বলাগড় থানার পুলিশ।
[ বস্তাবন্দি প্রায় ৬০ কেজি পচা মাংস-সহ ধৃত রেল যাত্রী]
হাওড়ার আন্দুলে বাড়ি সুমন কর্মকারের। বরাবরের মেধাবী ছাত্র। উচ্চমাধ্যমিকের পর হুগলির গুপ্তিপাড়ার সরোজমোহন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে ভরতি হয়েছিলেন সুমন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। থাকতেন কলেজের হস্টেলে। হস্টেলের অন্য পড়ুয়াদের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে নিজের ঘরেই ছিলেন সুমন। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। রাতে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। কিন্তু, পুলিশ আসার আগেই সুমন কর্মকারের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন হস্টেলের আবাসিক। দেখা যায়, সিলিং থেকে ঝুলছেন সুমন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বলাগড় থানার পুলিশ।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুমন কর্মকারের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, হস্টেলে নিয়মিত সুমনকে ব়্যাগিং করতেন তাঁর দুই সহপাঠী। মদ ও গাঁজা খেতে রাজি না হওয়া হস্টেলে তাঁকে রীতিমতো একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের লোকেদের দাবি, কলেজ হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের কথা তাঁদের জানিয়েওছিলেন সুমন। ছেলেকে পেয়িং গেস্ট রাখার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দিন কয়েক পরে সুমনই আবার জানিয়েছিলেন, হস্টেলে সহপাঠীদের সঙ্গে সমস্যা মিটে গিয়েছে। গুপ্তিপাড়া সরোজমোহন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সুমন কর্মকারের দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তদন্তে বলাগড় থানার পুলিশ।
[ থমকে সম্প্রসারণের কাজ, বেহাল জাতীয় দু’নম্বর সড়ক এখন বিভীষিকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.