সুমন করাতি, হুগলি: সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Abhishek Banerjee) শেষ ভরসা। এমনই মনে করছেন হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দারা। এলাকার দু’টি হাসপাতালের অবস্থাই শোচনীয়। মেলে না সঠিক চিকিৎসা। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
হুগলির বলাগড় বিধানসভা এলাকার গুপ্তিপাড়া হাসপাতাল ও বলাগড়ের সুখরিয়া হাসপাতাল, এই দুই চিকিৎসা কেন্দ্রের অবস্থাই এখন শোচনীয়। অথচ এই বিধানসভা এলাকার মানুষের প্রধান ভরসা এই দুই হাসপাতাল। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবা আর পাওয়া যায় না এখন। অভিযোগ, গুপ্তিপাড়া হাসপাতালে সবসময় চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার কথা থাকলেও দিনে হয়তো এক ঘণ্টার জন্য চিকিৎসক আসেন। তারপর বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতাল। সুখরিয়া হাসপাতালেরও একই অবস্থা। এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল প্রায় এক লক্ষ মানুষ। তাঁদের কোনও সমস্যা হলে এখন যেতে হয় চুঁচুড়া হাসপাতাল না হলে বর্ধমান হাসপাতাল। রাতে কেউ অসুস্থ হলে সমস্যা আরও বাড়ে। এই অব্যবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে শেষ ভরসা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছে বলাগড়ের মানুষ।
নবজেয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়ে জেলায়-জেলায় ঘুরছেন অভিষেক। অভিযোগ পাওয়া মাত্র সমাধান করছেন সমস্যার। তাই এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উপরই ভরসা রাখছেন তাঁরা। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে আগামী ৭ তারিখ বলাগড়ে আসছেন অভিষেক। আর তাঁকে স্বাস্থ্য পরিষেবার অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানাবেন এলাকার মানুষ।
এলাকার বাসিন্দা রাজা বাগচি বলেন, “গুপ্তিপাড়া হাসপাতাল আগে খুবই ভাল ছিল। প্রসূতি বিভাগও ছিল ভাল। কিন্তু এখন আর পরিষেবা পাওয়া যায় না। একঘন্টার জন্য ডাক্তার আসেন। তিনি চলে গেলে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে হাসপাতাল।” তাই এলাকার বাসিন্দারা চায়, এই হাসপাতাল আবার ভালও ভেবে চালু হোক। সবসময় যেনও পরিষেবা পাওয়া যায়। এলাকার অন্য এক বাসিন্দা গোপাল মজুমদারের জন্ম এই হাসপাতালেই। তিনি বলেন, “আগেকার দিনে এখানে ভাল পরিষেবা পাওয়া যেত। তাহলে এখন এই অবস্থা কেন? মুখ্যমন্ত্রীর পরিকাঠামো ঠিক করলেও কেন বন্ধ থাকে হাসপাতাল? এখানকার মানুষকে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” এলাকা বাসিন্দাদের দাবি, বলাগড়ের দু’টো হাসপাতাল আবার আগের মত পরিষেবা চালু রাখা উচিত। আর তাঁদের চাহিদা মেটাতে পারেন একমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.