সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মধ্যে কেমন রয়েছে সিপিএম আমলে শহিদ হওয়ার তৃণমূল কর্মীদের পরিবার? কেমন আছেন তাঁদের পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা? এই খবর নিতে সাংসাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ সোমবার তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতারা। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি-সহ অন্যান্য নেতৃত্বও। শতাধিক শহিদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তুলে দেওয়া হল খাদ্যসামগ্রী। বিপদের দিনে দলীয় নেতা-কর্মীদের এভাবে পাশে পেয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যরা বেজায় খুশি।
১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হুগলির যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা খুন হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় হুগলি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস। সেই তালিকায় রয়েছেন আরামবাগের অনন্ত দোলুই, পুরশুড়ার যুধিষ্ঠির দোলুই, শেখ নূর মহম্মদ, খানাকুলের গোলাম আম্বিয়া কাজি, মনোরঞ্জন পাত্র সহ শতাধিক শহিদ। ১৯৯৮ সালের ১১ মে হুগলি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম শহিদ হন গোঘাটের মদন চক্রবর্তী। সোমবার শহিদ পরিবারের সদস্যদের কাছে যান হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব, হুগলি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক মানস মজুমদার, কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান-সহ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অনেকেই। শহিদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
হুগলি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জানিয়েছেন শহিদ পরিবারগুলির খবর নিতে। সেই অনুযায়ী আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি। শহিদ পরিবারগুলিও তো তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধিত পরিবার। তাই আমরা যেমন পরিবারের খোঁজ রাখি, বাজারঘাট করি, সেভাবেই শহিদ পরিবারগুলির পাশে থাকার কর্তব্য পালন করছি।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.