দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, সম্পর্কের টানাপোড়েন, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আত্মহননের পথ বেছে নিলেন দু’জনে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান মেন-লাইন শাখায় মগরা ও তালান্ডু স্টেশনের মাঝে। বুধবার সকালে ব্যান্ডেল জিআরপি জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃত বছর পঁচিশের গৃহবধূ ঋত্বিকা রায় এবং সিঙ্গুর আইটিআই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া যুগল দাস। দু’জনেরই বাড়ি মগরার সুকান্তনগরে।
বছর তিনেক আগে ওই কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত নগরের গৃহবধূ ঋত্বিকা। সম্প্রতি ঋত্বিকার স্বামী নিখিল রায় যুগল ও ঋত্বিকার সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। জানতে পারে নিখিলের পরিবারও। স্বাভাবিকভাবেই অশান্তি শুরু হয় দুই পরিবারের মধ্যে। যদিও, মৃতা গৃহবধূর স্বামী নিখিলের দাবি, তিনি সব জানার পর স্ত্রী ঋত্বিকাকে যুগলের সঙ্গ ত্যাগ করতে বলেন। ওই দম্পতির একটি পাঁচ বছরের সন্তান আছে। অন্তত সন্তানের কথা ভেবে ঋত্বিকা শুধরে যাবে, এই আশায় তিনি ঋত্বিকাকে বেশি বকাবকিও করেননি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিকও হয়ে উঠছিল তাঁদের সম্পর্ক।
এরই মধ্যে হঠাৎ ঋত্বিকার মৃত্যুর খবরে হতভম্ব নিখিল। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিকা বাজারে যাচ্ছেন বলে স্কুটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় নিখিল তাঁকে ফোন করেন। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ঋত্বিকা জবাব দিয়েছিল কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বাড়ি ফিরছেন। এরপর রাত আটটায় ফের ফোন করলে সুইচ অফ আসে। তারপরই ঋত্বিকার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঋত্বিকার আগেও কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। যুগলের সঙ্গে বছর তিনেক হল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বুধবার সকালে তালান্ডু ও মগরা স্টেশনের মাঝে ১৩০ নম্বর গেটের কাছ থেকে যুগল ও ঋত্বিকার দেহ উদ্ধার করে ব্যান্ডেল জিআরপি। মগরা স্টেশনের কাছ থেকে ঋত্বিকার স্কুটিটি উদ্ধার হয়। অনুমান মগরা স্টেশন পর্যন্ত যুগল ও ঋত্বিকা ওই স্কুটিতে করে এসেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.