দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শ্মশানেই উঠে বসলেন মৃত মহিলা৷ শনিবারের চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় হুগলির ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে হুলস্থুল। ঘটনার কথা কানাঘুসো হতেই বহু মানুষ শ্মশান ঘাটে ভিড় করেন। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে শ্মশানযাত্রীদের হাতে আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও।
ত্রিবেণীর বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা রেণু পাল, সপ্তাহখানেক ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন। শনিবার ভোরে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন দুপুর একটা নাগাদ পরিবারের লোকজন তাঁর দেহ দাহ করার জন্য ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে নিয়ে আসেন৷ কিন্তু তারপরই ঘটে অবাক কাণ্ড৷ মৃতার পরিবারের লোকজনদের হঠাৎই মনে হয় মৃতা নড়চড়া করছেন! সকলকে অবাক করে খাটের উপর উঠে বসেন ওই মহিলা। তা দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে যান৷ ভরদুপুরে ভূতের ভয়ে শ্মশানে দৌড়াদৌড়িও শুরু করে দেন কেউ কেউ। মহিলার পরিবারের লোকজনেরা মৃতার সারা শরীরে হাত বোলাতে শুরু করেন৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে৷ স্থানীয়রা শ্মশান ঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করেন। কিন্তু মিনিট পাঁচেক ধরে হাতে, পায়ে, পিঠে হাত বোলালেও, আর কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না ওই মহিলার৷ তাঁর পরিজনরা ধরে নেন মহিলা মারা গিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই শনিবারের ‘ভূতুড়ে’ কাণ্ডের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান৷ তাঁদের উপর চড়াও হন শ্মশানযাত্রীরা। ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে দেওয়া হয়। গণ্ডগোল মিটতে দাহ করে বাড়ি ফিরে যান পরিজনেরা। স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলা যখন কিছুক্ষণের জন্য উঠে বসলেন, হয়তো মহিলা কোমায় চলে গিয়েছেন যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তাঁকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কোনও হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে কীভাবে মহিলার পরিজনেরা তাঁকে মৃত বলে ধরে নিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.