প্রতীকী ছবি।
শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: শান্তিপুরের পর এবার শিলিগুড়ি৷ ফের বিষমদ খেয়ে মৃত্যু৷ বৃহস্পতিবার সকালে ফাঁসিদেওয়ার মাদারবক্স গ্রামে একটি বাড়িতে দু’জনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকেরা৷ মৃতের নাম বাবলু কর্মকার। অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে বিষমদ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই দু’জনের৷ ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকার বেশ কয়েকটি চোলাই মদের ঠেকে চলে ভাঙচুর৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ৷
[অমিত শাহর সভামঞ্চের পাশে বোমাবাজি, তীব্র উত্তেজনা কোচবিহারে]
শিলিগুড়ি শহরের একেবারেই লাগোয়া ফাঁসিদেওয়া৷ স্থানীয় নিজামতারা গ্রামে পঞ্চায়েতের মাদারবক্স গ্রামে বাড়ি বাবলু কর্মকারের৷ পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে বাবলুর মৃতদেহ দেখতে পান তাঁরা৷ বাড়ির বারান্দার পড়েছিল আরও একজনের দেহ৷ তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মদের নেশা ছিল বাবলুর৷ রোজ রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরতেন তিনি৷ বুধবার রাতেও যথারীতি এলাকার একটি চোলাই মদের ঠেকে গিয়েছিলেন বাবুল৷ বিষমদ খেয়েই মারা গিয়েছেন তিনি৷ দাবি স্থানীয়দের। বাড়ির বারান্দা যাঁর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, তিনি সম্ভবত বাবলুর বন্ধু৷
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ফাঁসিদেওয়ার মাদারবক্স গ্রামে৷ গ্রামের বেশ কয়েকটি চোলাই মদের ঠেকে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ৷ মৃতদেহটি উ্দ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে৷ আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই শান্তিপুর বিষমদ কাণ্ডে শোরগোল পড়ে দিয়েছিল রাজ্যে৷ নৃসিংহপুরের চৌধুরীপাড়ায় বিষমদ খেয়ে মারা যান ১১ জন৷ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কমপক্ষে ২৫ জন৷ ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদানও দেওয়া হয়েছে৷
[ লবনের খোঁজে লোকালয়ে হানা বুনো দাঁতালের, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.