অরূপ বসাক, মালবাজার: একবার নয়, বেশ কয়েকবার। দামি মোবাইল, লক্ষাধিক নগদ টাকা পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। চা বিক্রেতা শৈলেন হালদারকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই মালবাজারের ওদলাবাড়ির শহরের বাসিন্দাদের। তাঁর সততায় ধন্যি ধন্যি করছেন সকলেই। সোমবার শৈলেন হালদারের চায়ের দোকানে মোবাইল ফেলে চলে যান এক ব্যক্তি। এখন সেই মোবাইল মালিককে হন্যে হয়ে খুঁজছেন তিনি।
[মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শই পাথেয়, টাকা-গয়না পেয়েও ফেরালেন পঞ্চায়েত কর্মী]
জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার ছোট্ট শহর ওদলাবাড়ি। ওদলাবাড়ি বাজারে একটি চায়ের দোকান চালান শৈলেন হালদার। দোকান না বলে অবশ্য গুমটি বলাই ভাল। দিনভর চা বিক্রি করেই কোনওমতে সংসার চলে যায়। স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে সংসার শৈলেনবাবুর। ছেলে স্কুলে পড়ে। চা বিক্রি করে যা রোজগার হয়, তাতে সংসারের অভাব মেটে না। তবুও সততা বিসর্জন দিতে নারাজ ওই চা বিক্রেতা।
[কঙ্কাল কাণ্ডের ছায়া আলিপুরদুয়ারে, ১৩ দিন দিদির দেহ আগলে বোন]
ওদলাবাড়ির বাজারে পূর্ত দপ্তরের অফিসের পাশেই চায়ের দোকান শৈলেন হালদারের। দিনভর যাঁরা নানা কাজে পূর্ত দপ্তরের অফিসে আসেন, তাঁরা শৈলেনবাবুর দোকানে চা খেয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারাও আসেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার চা থেকে এসে দোকানে একটি মোবাইল ফেলে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি নজরে আসার পরই মোবাইল মালিকের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন শৈলেন। তবে এখনও ওই ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। মোবাইলটি সযত্নে রেখে দিয়েছেন তিনি।
[স্ত্রী-কন্যাকে খুন, দেহ খাটের নিচে রেখে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যক্তির]
তবে এবার প্রথম নয়। ওই চা বিক্রেতা যে কতটা সৎ, এরআগে তার প্রমাণ পেয়েছেন ওদলাবাড়ি শহরের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন আগে শৈলেন হালদারের চায়ের দোকানে ব্যাগ ফেলে চলে গিয়েছিলেন এক যুবক। ব্যাগে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছিল। টাকা ভরতি ব্যাগটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ওই চা বিক্রেতা। এই ঘটনার ঠিক ২ দিন আগে একইভাবে নগদ ৭০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন শৈলেন। সে টাকাও ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শৈলেন হালদার অত্যন্ত সরল ও সাদাসিধে মানুষ। সৎ তো বটেই। গরিব হলেও টাকা-পয়সা বা অন্য কোনও কিছু প্রতিই লোভ নেই তাঁর। সৎ চা বিক্রেতাকে নিয়ে গর্বিত ওদলাবাড়ি শহরের বাসিন্দারা।
[দিল্লির ছবি ফিরল শিলিগুড়িতে, ধোঁয়ার জেরে শ্বাসকষ্টে কাবু বাসিন্দারা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.