Advertisement
Advertisement

আদালতের রায়ে ভিটেহারা, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অশীতিপর বৃদ্ধার

বৃদ্ধাকে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী পরিবার ও প্রশাসন।

homeless old lady
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 3, 2019 8:02 pm
  • Updated:March 3, 2019 8:02 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বাড়িওয়ালা উচ্ছেদের মামলা করেছে। রায় গিয়েছে মামলাকারীর পক্ষেই। ভিটে হারা ৮৬ বছরের এক বৃদ্ধা। যেটুকু যা সহায়সম্বল তা নিয়ে রাস্তার পাশেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে ৬০ বছর যে ঘরে দিন গুজরান ছিল তার, সেই ভিটে ছাড়তে নারাজ তিনি। এমনকি সন্তানেরা বারবার তাকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে চাইলেও নারাজ বৃদ্ধা।

[ধুঁকছে যাত্রা শিল্প, পুনরুদ্ধারে নিজেরাই দল গড়লেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা]

আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম শান্তি পণ্ডিত। জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় আসেন তিনি। এরপর হুগলির উত্তরপাড়ার ষষ্ঠীতলা এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নেন তাঁরা। সেখানেই তাঁর ৬০ বছরের সংসার যাপন। সেই ভিটেতেই গত হয়েছেন স্বামী। সন্তানরা নিজেদের মতো করে অন্য জায়গায় থাকতে শুরু করেছেন। মাকেও নিজেদের কাছেই রাখতে চেয়েছেন তাঁরা। তবে নাছোড়বান্দা বৃদ্ধা। দীর্ঘদিনের এই ভিটে যেন তার কাছে নিজের হয়ে গিয়েছে। তা ছেড়ে যাওয়া তার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলেছে। বাড়ির মালিকানা বদল হয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন মেরামতি না হওয়ায় ভগ্নপ্রায় দশা দীর্ঘদিনের পুরনো বাড়িটির। জানা গিয়েছে, তাই বাড়িটি মেরামতির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ঘর খালি করে দিতে বলেছেন বর্তমান মালিক নাগেশ্বর গুহ। অভিযোগ তাতে কর্ণপাত করেননি বৃদ্ধা। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বাড়ির মালিক। এরপর হুগলি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঘর থেকে উৎখাত করা হয় ওই বৃদ্ধাকে। এরপর নিজের জিনিসপত্র নিয়ে জিটি রোডে বাড়ির বাইরে খোলা আকাশের নিচে বসে রয়েছেন বৃদ্ধা।

Advertisement

[বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই, খেলার মাঠে এখনও অজেয় কাটোয়ার শিক্ষক]

এপ্রসঙ্গে, বর্তমান মালিক নাগেশ্বর গুহ বলেন, গোটা পরিস্থিতি বুঝিয়ে টাকার বিনিময়ে বৃদ্ধাকে ঘর ছাড়ার আবদেন করেছিলাম, কিন্তু তিনি তাতে সম্মতি দেননি। ওই এলাকার কাউন্সিলর তাপস মুখোপাধ্যায়ও নাগেশ্বর বাবুর মন্তব্যের সঙ্গেই একমত হয়েছেন। এমনকি বৃদ্ধার সন্তানেরাও জানিয়েছেন, তারা একাধিক বার বলা সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে যেতে চাননি মা। কাউন্সিলর জানিয়েছেন, অতি শীঘ্রই তাঁর থাকার একটা ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনও সুরাহা মিলবে কি? যে ভিটের জন্য রাস্তায় ঠাঁই নিয়েছেন বৃদ্ধা। তা ছেড়ে অন্য ঘরে তিনি যাবেন কি না সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement