Advertisement
Advertisement

ফোনে বিধায়কের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তার দুই যুবক

মিথ্যে বলেও রেহাই নেই।

Hoax call in the name of MLA

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 15, 2019 2:30 pm
  • Updated:January 15, 2019 2:30 pm  

আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: একে তো ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ। তার উপর আবার বিধায়ক পরিচয় দিয়ে নিজেদের ছাড়িয়ে নেওয়া। দুই গুরুতর ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার দুই যুবক। সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে বিটি রোডের উপর রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। সে সময় ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে দীপঙ্কর চক্রবর্তী নামে এক বাইক আরোহীকে আটক করা হয়। ট্রাফিক গার্ড জেরা করার সময় হঠাৎই বারাকপুরের ডিসি ট্রাফিকের কাছে একটি ফোন আসে। উলটোদিক থেকে বলা হয়, ‘আমি গোঘাটের বিধায়ক বলছি। ট্রাফিক পুলিশ যে বাইক আরোহীকে আটকেছেন সে আমার পরিচিত লোক। ওকে ছেড়ে দিন। জরুরি কাজে পাঠিয়েছিলাম।’ একই সময়ে ট্রাফিক বিভাগের ওসির কাছেও একটি ফোন আসে। একই কথা বলা হয়। পরপর দুই পুলিশকর্তার কাছে ফোনে একইরকম বয়ানে ফোন আসায় খানিকটা দ্বিধায় পড়ে যান কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। দীপঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই সেখানে হাজির হন এক যুবক। নিজেকে সম্রাট পাল পরিচয় দিয়ে, তিনিও একই অনুরোধ জানান সার্জেন্টকে।

                                                [বঙ্গসংস্কৃতিকে চেনাবে উনিশের ব্রিগেড, চাইছেন মমতা]

Advertisement

পরপর এসব ঘটনায় সন্দেহ শুরু হয় পুলিশের মধ্যে। দীপঙ্কর চক্রবর্তী এবং সম্রাট পাল, দু’জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। সবটা যাচাই করার জন্য এক পুলিশ কর্মী বিধায়ক পরিচয় দিয়ে যে নম্বর থেকে যে ফোনটি এসেছিল, সেটিতে ফোন করেন। সঙ্গে সঙ্গে দুই যুবকের কাছে থাকা একটি মোবাইল বেজে ওঠে। তাতেই বেরিয়ে পড়ে প্রকৃত সত্য। পুলিশ কর্তাদের বুঝতে বাকি থাকে না যে গোঘাটের বিধায়ক পরিচয় দিয়ে যে ফোনটি এসেছিল সেটি আসলে ভুয়ো। গোটা ঘটনাই পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা। এরপরই দুই কীর্তিমান যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ট্রাফিক আইন ভাঙা, বিধায়কের ভুয়ো পরিচয় দেওয়া – দুই বড় ধরনের অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে দীপঙ্কর এবং সম্রাটের বিরুদ্ধে। পথ নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে রাজ্য সরকারের তরফে রয়েছে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্প। তার বাস্তবায়নে সর্বদা প্রচার চলছে। আইন ভাঙলে কড়া শাস্তির বিধানও আছে। তবে তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটছে। শাস্তি থেকে পিঠ বাঁচাতে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পালানোর ঘটনাও ঘটে, তার প্রমাণ বারাকপুরের ঘটনা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement