ফাইল ছবি
অভিষেক চৌধুরী, কালনা: সামান্য দু’-এক বছর নয়। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে স্কুলে নেই কোনও অঙ্কের শিক্ষক (Maths teacher)। নেই ভূগোল কিংবা এডুকেশনের শিক্ষকও। কিন্তু তাই বলে অঙ্ক কিংবা ভূগোলের ক্লাস তো থেমে থাকতে পারে না। তাই ইতিহাসের শিক্ষককেই পাঠানো হয় অঙ্ক শেখাতে। কখনও বা পাটিগণিত-বীজগণিত শেখানোর দায়িত্ব বর্তায় জীববিজ্ঞানের (Bio Science) শিক্ষকের উপর। এভাবেই চলছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর একটি স্কুলের পড়াশোনা। স্বভাবতই সিলেবাস সামলাতে নাভিশ্বাস উঠছে পড়ুয়াদের। কিন্তু ১৭ বছর ধরে এই সমস্যার কোনও সমাধানই নেই।
পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পাটুলি গার্লস হাইস্কুল। এখানে বিষয়ভিত্তিক পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুরভী মাণ্ডির কথায়, “২০০৬ সাল থেকে আমাদের স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক নেই। এছাড়াও ভূগোলের শিক্ষক, এডুকেশনেও শিক্ষক নেই। তাই প্রয়োজনে অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়েই ওই সব বিষয়গুলি পড়ানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি।”
পাটুলি গার্লস হাইস্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যাটাও কম নয়, পাঁচশোরও বেশি। তার উপর নবম ক্লাসেও রয়েছে শতাধিক পড়ুয়া। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পিওর সায়েন্সের টিচার না থাকায় ওই স্কুলে অঙ্কের ক্লাস ঠিকমত হয় না। তাই পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হয়। সিলেবাস বোঝানোর প্রয়োজনে তাই ইতিহাসের শিক্ষিকা আবার কখনও বায়োসায়েন্সের শিক্ষিকাকে দিয়ে অঙ্কের ক্লাস নেওয়াতে হয়। আর এই কারণে সমস্যায়ও পড়তে হয় পড়ুয়াদের।
নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা জানাচ্ছে, “অঙ্কের শিক্ষক নেই। তাই ক্লাস সেইভাবে হয় না বললেই চলে। সিলেবাস বুঝতেও অসুবিধা হয়। তাই পরীক্ষার সময়ও পড়তে হবে সমস্যায়।” স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা হাসনা খাতুন বলেন, “আমি ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষিকা। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে অঙ্কের শিক্ষিকা নেই। তাই স্কুলের স্বার্থে ছাত্রীদের কথা ভেবেই অঙ্কের ক্লাস নিতে হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.