ছবি: অমিতলাল সিং দেও।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম যেন ইতিহাসের খনি। এখানে এসে পৌঁছল সিন্ধু সভ্যতার বিরল কিছু নিদর্শন। পুরুলিয়ার (Purulia) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ দীপককুমার কর ও রেজিস্ট্রার ডঃ নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এখানকার মিউজিয়ামে সাজানো হল বিরল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। দিল্লি নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সান্দিপনি ভট্টাচার্য তাঁর নিজস্ব সংগ্রহের সিন্ধু সভ্যতার (Indus Civilization) বেশ কিছু মূল্যবান নিদর্শন সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় (Sidho Kanho Birsha University) মিউজিয়ামে দান করলেন। খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, অধ্যাপিকা থেকে শিক্ষাকর্মী এমনকী গবেষকরাও।
সান্দিপনি ভট্টাচার্যের নৈহাটির (Naihati) কাঁঠাল পাড়ায়। সেখানেই রাখা ছিল তাঁর সংগৃহীত সিন্ধু সভ্যতার বিরল কিছু নিদর্শন। রবিবার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সোনালি মুখোপাধ্যায় সেই বাসভবন থেকে ওই নিদর্শনগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময়ে সান্দিপনি বাবু এগুলি সংগ্রহ করেছিলেন। সিন্ধু সভ্যতার নানা নিদর্শন সংগ্রহ করা সান্দিপনি বাবুর নেশা। তাঁর এই উদ্যোগে একদিকে যেমন মিউজিয়ামের উৎকর্ষ বৃদ্ধি পেল, তেমনই মিউজিয়াম নিয়ে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকরা উপকৃত হবেন।
জেলার যেসব মানুষজন ভারতীয় জাদুঘর (Indian Museum) বা অন্য জাতীয় সংগ্রহশালায় দেখার সুযোগ পান না, অথচ ইতিহাসে আগ্রহী, তাঁরাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে এই নিদর্শনগুলি দেখার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন মিউজিয়ামের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শর্মিলা গুপ্ত। তাঁর কথায়, “সিন্ধু সভ্যতার এই নিদর্শন আমাদের মিউজিয়ামকে আরও সমৃদ্ধ করবে। উপকৃত হবেন ছাত্রছাত্রী থেকে গবেষকরা।”
২০১৬ সাল নাগাদ এই মিউজিয়াম গড়ে উঠেছিল সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ছাড়াও এই জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্বলিত নানা সামগ্রী ওই মিউজিয়ামে রয়েছে। রয়েছে রকমারি হস্তশিল্পের সম্ভারও। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম বর্তমানে গবেষণার একটি বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.