সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু হয়েও তা হয়ে উঠল না। উলটে নতুন করে অশান্ত হল পাহাড়। বনধ ওঠার কথা থাকলেও পাহাড় থাকল কার্যত স্তব্ধ হয়ে। ফের জ্বলল আগুন। মৃত্যু হল এক মোর্চা সমর্থকের।
[ বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর মোর্চার ]
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই পাহাড়ের ‘নতুন নেতা’ বিনয় তামাং ঘোষণা করেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে বনধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে পাহাড়ে। তা নিয়েই এখন মোর্চার অন্দরে দ্বন্দ্ব চরমে। বিমল গুরুং, রোশন গিরিদের ছাপিয়ে বিনয় তামাংয়ের প্রভাব বাড়া মাত্র, মোর্চা থেকে তাঁকে ছাঁটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিনয় তামাংকে মোর্চা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি। অন্যদিকে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিনয়। তাঁর দাবি, অপসারণের এই প্রক্রিয়া অগণতান্ত্রিক। তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমতি না নিয়ে তাঁকে সরানো যাবে না। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় কমিটির চোদ্দ জন সদস্য পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে আত্মগোপন করে আছে, তাহলে কী করে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এই দ্বন্দ্বেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। শুক্রবার বনধ প্রত্যাহারের কথা থাকলেও পাহাড় একেবারে শুনশান। দোকানপাট, বাজার সব বন্ধই ছিল। এই পরিস্থিতিতেই মিছিল করেন মোর্চা সমর্থকরা। বলা ভাল, গুরুং অনুগামীরা। বিনয় তামাং পাহাড়ের বিশ্বাসঘাতক বলে স্লোগান ওঠে। এই মিছিলে মৃত্যু হয় রমিলা রাই নামে এক মহিলার। মোর্চার অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই দলীয় সমর্থকের। মৃতদেহ নিয়ে ফের মিছিল শুরু করে মোর্চা। এদিকে কালিম্পংয়েও জ্বলে আগুন। অশান্ত হয়ে ওঠে শহর। আগুন জ্বালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সুরজ বাগদাদ নামে এক মোর্চা নেতাকে। কার্শিংয়ে এসডিপিও-র গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বিনয় তামাংয়ের বাড়িতেও।
[ এবার প্রাণ কাড়তে হাজির মারণ গেম ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’ ]
বিনয় তামাংয়ের ঘোষণার পর পাহাড়ে শান্তি ফিরবে বলেই আশা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মোর্চার অন্দরের এই ফাটলের জেরে বনধের কানাগলি থেকে পাহাড় কবে মুক্তি পাবে, তা দার্জিলিংয়ের আকাশের মতোই মেঘাচ্ছন্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.