আয়েশা খাতুন
স্টাফ রিপোর্টার, বারাসত: গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়ে। বাড়ি লাগোয়া মুদিখানা দোকান চালান বাবা। টানাটানির মধ্যেই চলে চারজনের অভাবের সংসার। এই দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রথম কুড়িজনের তালিকায় জায়গা করে নিলেন আয়েশা খাতুন।
বারাসত (Barasat) ১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের বাদু চণ্ডীগড়ি গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা। বামনমুড়া কন্যাকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী তিনি। প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৮। জেলার মধ্যে তিনি অষ্টম। গ্রামের মেয়ের এহেন সাফল্যে গর্বিত পরিবার, পরিচিত এবং আত্মীয়রা।
দরিদ্রতাকে জয় করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মা-বাবার কষ্ট কমানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য আয়েশার। তিনি জানান, আগামী দিনে ইংরেজি অনার্স (English Honours) নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ধরাবাঁধা সময় কখনও পড়েনি বলেও জানিয়েছে কৃতী এই ছাত্রী। তাঁর কথায়, যখন ভালো লাগত তখনই পড়তাম। আগামী পরীক্ষার্থীদের জন্য তাঁর পরামর্শ, লক্ষ্য স্থির করে সেদিকে ফোকাস করে পড়লেই সাফল্য আসবে।
আয়েশার গৃহশিক্ষক তন্ময় চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করে এত ভালো রেজাল্ট সত্যিই আমাদের কাছে গর্বের। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা পাল্টানোর চেষ্টা একটা, জেদ ওর মনের মধ্যে ছিল। সেই কারণেই কঠোর পরিশ্রম করে আয়েশা এই ফলাফল অর্জন করতে পেরেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.