দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) সরিয়ে রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলির ভিজিটর পদে বসতে চলেছেন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঙ্গলবার বিরোধীশূন্য বিধানসভায় পাস হয় ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ল’জ (অ্যামেন্ডমেন্ট বিল), ২০২২’। রাজ্যপালকে সরিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো সংক্রান্ত বিল আগের দিন পাস হয়েছে। রাজ্যপালকে কেন সরানো দরকার তা নিয়ে এদিন আরও তুখোড় ও শানিত যুক্তি দেন ব্রাত্যবাবু।
বিরোধী দল বিজেপির দাবি, রাজ্যপাল এই বিলগুলিতে স্বাক্ষর করবেন না। বিলের আলোচনা শেষে জবাবি ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজভবন থেকে এই পাস হওয়া বিলগুলি ফেরত এলে আমরা ফের বিধানসভায় একই বিল পাস করাব। তখন আর রাজ্যপাল ফেরত পাঠাতে পারবেন না। আর যদি রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন তাহলে তিনিই সই করে দেবেন। কারন সাংবিধানিক কাঠামোয় কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে আমাদের রাজ্যের আইনের কোনও ঠোকাঠুকি লাগছে না।”
এদিন শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বিজেপি বিধায়করা বেরিয়ে যান। বর্তমান রাজ্যপালকে ঠেকাতেই যে এই বিলগুলি সরকার আনছে তা বোঝা যায় ব্রাত্যবাবুর ভাষণে। বিধানসভায় তিনি বলেন, “আমরা যে প্রস্তাবই পাঠাই তা ফেলে রাখেন রাজ্যপাল। উনি একজন অতি সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। বিজেপি যদি দায়িত্ব নেয় ওঁকে বোঝানোর, তাহলে আমরা ফের বিল সংশোধনের কথা ভাবব। ব্যক্তি ‘আমি’ নয়, যে যখন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী হবেন তিনি হবেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর। প্রয়োজন ফুরোলে আমরা বিল প্রত্যাহার করে নেব।”
বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক বিলের বিরোধিতা করে বলেন, “রাজ্যপালকে আচার্য বা ভিজিটর পদ থেকে সরানো মানে শিক্ষায় সরাসরি রাজনীতিকরণ করা। বিধায়কদের এলাকার স্কুল কলেজের পরিচালন সমিতিতে রাখা হয়। কিন্তু বিজেপি বিধায়করা নিজেদের এলাকায় ওই দায়িত্ব পান না। শিক্ষাক্ষেত্রে যে শাসকদল রাজনীতি করতে চায় এই সিদ্ধান্ত তার প্রমাণ।”
বিলের সমর্থন করেন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর জবাবি ভাষণে দাবি করেন, “বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে ঘৃণা করে। সারা দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৪০৩টি এবং রাজ্যে ১১টি। কোথাও রাজ্যপাল ভিজিটার হিসাবে নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ইউজিসির গাইডলাইন আছে। রাজ্যপাল বেআইনিভাবে তদন্ত কমিটি গড়েছেন।”
অধিবেশনের প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্বে ব্রাত্যবাবু জানান, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে কোনও অসুবিধা হলে ১৮০০১০২৮০১৪ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলে সুরাহা মিলবে। কোনও অভিযোগ থাকলে ইমেলও করা যাবে। contac [email protected] মেল করলে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.