ছবি; প্রতীকী
নব্যেন্দু হাজরা: ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas) আছড়ে পড়েছিল ওড়িশায়। বাংলার উপকূলেও বেশ আঘাত হেনেছিল। তবে সেই সময় কোটালের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীবাঁধ। তার ফলে জলের তলায় ডুবে গিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। আবারও ফের অমাবস্যার কোটালের ভ্রূকূটি। তার ফলে কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। আর ওই নিম্নচাপের হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে এবার প্রবেশ করবে বর্ষা (Monsoon)। যার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়। শনিবারও উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে বর্ষা। তার ফলে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
তবে বর্তমানে ভারী বৃষ্টির চেয়ে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অমাবস্যার কোটাল। তার ফলে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। দিঘায় প্রায় ১৬ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। কলকাতায় ১৭.০৬ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। তার ফলে ফের নদীবাঁধের ক্ষতি হতে পারে। ‘যশ’ বা ‘ইয়াস’-এর ধাক্কা সামলানোর আগেই ফের জলের তলায় যেতে পারে বহু গ্রাম। কলকাতার নিচু এলাকাগুলিও জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার দিনভর কলকাতায় রোদ-মেঘের লুকোচুরি জারি থাকবে। হতে পারে বৃষ্টিও। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আর্দ্রতার কারণে বজায় থাকবে অস্বস্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.