Advertisement
Advertisement
বাঁকুড়ার ট্যাঙ্ক ভাঙা

ট্যাঙ্ক ভাঙার ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত, ঠিকাদারদের লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর

তদন্তের নির্দেশ জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের।

High level probe ordered on Bankura water tank collapse by minister
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 23, 2020 4:54 pm
  • Updated:January 23, 2020 5:41 pm  

দেবব্রত দাস, খাতড়া: বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যের তরফে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর আশ্বাস, দোষী প্রমাণিত হলেই কড়া শাস্তি হবে। প্রয়োজনে ঠিকাদার সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।

এদিকে, আজ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। ট্যাঙ্ক নির্মাণের সময়ে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ করেছেন তিনি। ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ার পর থেকে সারেঙ্গা এলাকায় সাময়িকভাবে জল সরবরাহের সমস্যা দেখা গিয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাস, যত শীঘ্র সম্ভব তা স্বাভাবিক করা হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সভার আগেই টিটাগড়ে কানহাইয়ার নামে বিতর্কিত পোস্টার, আটক ৮ বিজেপি কর্মী]

বুধবার দুপুর নাগাদ সারেঙ্গার গড়গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেডাঙায়। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আস্ত একটি জলের ট্যাঙ্ক আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তবে তার আশেপাশে কেউ না থাকায় প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। সাধারণত এ ধরনের নির্মাণে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি পিরিয়ড থাকে। ২০১৬ সালে ট্যাঙ্ক নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়। তখন মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরের বছর থেকে চালু হয় জল সরবরাহ। এত কম সময়ের মধ্যে ট্যাঙ্কটি কীভাবে ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এখনও ট্যাঙ্কের ধ্বংসাবশেষ পুরোপুরি পরিষ্কার করা হয়নি। ঘটনার পরেরদিনই রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র উচ্চপর্যায়ের তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: বীরভূমে NRC আতঙ্ক, ২৪ ঘণ্টায় পরপর দুই ‘ইন্টারনেট সাথী’র বাড়িতে হামলা]

এদিকে, এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছিল ট্যাঙ্কটি। তাই এভাবে ভেঙে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ফতেডাঙায় গিয়ে একই অভিযোগ তুলেছেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ”জনগণের টাকা দিয়ে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে এই কাজ করা হয়েছে। কেমন কাজ হয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। কীভাবে ভেঙে পড়ল, তা তো বড় প্রশ্ন। টাকা দিয়ে কীভাবে কাজ হয়েছে, কালীঘাটের মাধ্যমে নাকি তৃণমূল ভবনের মাধ্যমে তা বোঝা দরকার। এমনি তদন্তে হবে না। যথাযথ তদন্ত চাই।” ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় এলাকায় জল সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। বিদ্যুৎহীন গ্রামের বহু বাড়ি। তাতেও ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও প্রশাসনের আশ্বাস, দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement