সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামপুর কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট৷ আজ, শুক্রবার অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা মামলা ওঠে৷ ইসলামপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়৷ কিন্তু, এই দাবি প্রসঙ্গে যথাযথ তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ না হওয়ায় মামলা খারিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারী দুই আইনজীবীর কাছে আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, ঠিক কেন তাঁরা এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন? কেনই বা বিচারবিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজন? সিআইডি যখন তদন্তভার নিতে চলেছে, তখন কেন এই দাবি? বিচারবিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে মামলাকারীদের তরফে তথ্যপ্রমাণও চাওয়া হয়৷ মামলাকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোনও নতুন তথ্য পেয়েছেন কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়৷ সংবাদমাধ্যমে দেখানো ফুটেজ ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে মামলার প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু, এই ক্ষুব্ধ হন অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি৷ আদালতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দাখিল না হওয়ায় মামলা খারিজের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাই কোর্ট৷ তবে, এদিনের এই মামলা খারিজ হলেও সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ইসলামপুর কাণ্ডে আগামী সপ্তাহে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হতে পারে বলে মৃত দুই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে৷ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে দায়ের হতে পারে মামলা৷
[প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে খুন! আতঙ্ক জয়নগরে]
অন্যদিকে, ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় অশান্তির জেরে গুলিতে নিহত দুই ছাত্রের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে ঘটনার দিন পুলিশ গুলি চালায়নি বলে ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে দাবি করেছে।
[পুলিশ হেফাজতে রাতভর যুব মোর্চার সভাপতিকে নির্যাতনের অভিযোগ]
প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কে বা কারা ঘটনার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে গুলি চালাল? শুধু তা-ই নয়, ছাত্রদের নাম করে স্কুলের ক্লাসরুম, লাইব্রেরি থেকে শুরু করে শিক্ষকদের বসার ঘর ও ল্যাবরেটরি পর্যন্ত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল কারা? কারণ স্কুলের ছাত্ররা ইতিমধ্যে প্রকাশ্যেই দাবি করেছে, তারা যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে সেখানে কিছুতেই হামলা চালাতে পারে না। শাসকদলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে বিজেপির তরফে হামলা চালানো হয়েছে দাড়িভিট স্কুলে। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বস্তুত এই কারণে জেলা পুলিশের হাত থেকে দুই ছাত্রের গুলিতে মৃত্যু ও হামলা নিয়ে যাবতীয় তদন্তের দায়িত্ব রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.