সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লকডাউনে অনলাইন ক্লাস সমস্যায় ফেলেছিল। নয়া পদ্ধতির পঠপাঠনে মনোসংযোগ করতে পারেনি। তার উপর মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত ইন্টারনেট সংযোগ। তবু চাপ নেয়নি। ভাল ফল করাই ছিল এবারের ICSE কৃতীদের লক্ষ্য। রবিবার ICSE দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই নজর কেড়েছেন মাসুদ, অভয়, আলিয়ারা।
রাজ্যের মধ্যে যে ৯ জন প্রথম হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে কলকাতার মহম্মদ মাসুদ ইকবাল। মাসুদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। দেশের মধ্যে দ্বিতীয়। কলকাতা ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের ছাত্র। ফল প্রকাশের পর মেধাবী এই ছাত্র বলে, “অনলাইন ক্লাস নিয়ে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়েছিল। তবে ভাল ফল করতে হলে চাপমুক্ত থাকা জরুরি। সেটাই ছিলাম।” ক্রিকেটপ্রেমী কৃতী ছাত্র চিকিৎসক হতে চায়। স্কুলের ছাত্র কলকাতার মধ্যে প্রথম হওয়ায় খুশি শিক্ষকমহল। কলকাতা ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন মিত্র বলেন, “আমরা সার্বিক ফলাফলের উপর জোর দিই। কোভিডে (COVID-19) আমাদের যেসব পড়ুয়া অভিভাবক হারিয়েছে, তারাও ভাল ফল করেছে। আমরা খুশি যে, আমাদের স্কুলের ছাত্র মেধা তালিকায় রয়েছে।”
রাজে্যর মধে্য প্রথম স্থানে থাকা ৯ জনের মধ্যে রয়েছে বৈদুর্য ঘোষ ও অভয় কুমার সিংহানিয়া। অভয়ের জন্মদিনেই এল খুশির খবর। ৯৯.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে আসানসোল দক্ষিণের রাহা লেনের বাসিন্দা। সেন্ট প্যাট্রিক স্কুলের ছাত্র। পড়াশোনায় বিঘ্ন যাতে না ঘটে তাই ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখত না। তবে অবসর সময় পেলে টেবিল টেনিস খেলে। বাবা প্রবীণ সিংহানিয়া বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মা গৃহবধূ। প্রিয় বিষয় অঙ্ক এবং জীববিজ্ঞান। মেধাবী এই ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।
আসানসোলের বাসিন্দা আলিয়া রাফত এজি চার্চ স্কুলের ছাত্রী ৯৯.৬ শতাংশ পেয়েছে সে। বাবা মহম্মদ আফসর আলম প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, মা গৃহবধূ। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হতে চায়। কঠিন পরীক্ষা নয়, ক্যামেরার সামনে এলে নার্ভাস হয়ে পড়ে মেধাবী ছাত্র বৈদুর্য। ফল প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসে নিজের দুর্বলতার কথা বলে ফেলল বারাকপুরের মডার্ন ইংলিশ অ্যাকাডেমির ছাত্র। দক্ষিণেশ্বরে আদ্যাপীঠ এলাকার বাসিন্দা। ফল ঘোষণার পর থেকে তার বাড়িতে উৎসবের মেজাজ। এদিন মেধাবী এই ছাত্রর বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। বই ও সিনেমার পোকা বৈদুর্য ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়।
অন্যদিকে নিজের কোনও ফোন ছিল না। মায়ের ফোন নিয়ে অনলাইন ক্লাস করত অদিত্রি গুপ্তা। রাজ্যের মধ্যে মেধা তালিকায় প্রথম যে তিন ছাত্রী রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম অদিত্রি। যৌথভাবে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী নিউটাউন ডিপিএসের ছাত্র বঞ্ছিত আগরওয়াল ভবিষ্যতে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে চায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.