ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আর পাঁচটা দিনের মতো শুরু হয়েছিল সকালটা। ঘুম ভাঙার পর প্রাত্যহিক কাজ সেরে নিজের ঘরেই বসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে রাখির দিনের স্বাভাবিক সকালের সুর কাটল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘণ্টাদেড়েক জেরার পর গরু পাচার মামলায় নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রতকে। যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, এখনও অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয়নি তাঁকে।
দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতেই থাকেন অনুব্রত। নীল রংয়ের বাড়ির দোতলার রাস্তার পাশের ঘরটি সবচেয়ে প্রিয়। সেখানেই বেশিরভাগ সময় কাটান তৃণমূল নেতা। সাম্প্রতিক ‘অসুস্থতা’র সময় ওই ঘরটিতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন অনুব্রত। বুধবার রাতে সেখানেই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, রাতে ভালই ঘুম হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠেন। অন্যান্য দিনের মতো ঘুম থেকে ওঠার পর বেশ কিছুক্ষণ বিছানায় বসেছিলেন। এরপর প্রাত্যহিক কাজকর্ম সারেন। ইতিমধ্যে অনুব্রত খবর পান তাঁর বাড়ির সামনে চলে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ততক্ষণে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এরপর সিবিআই আধিকারিকরা বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ঢোকেন। ভিতর থেকে দরজায় তালা দিয়ে দেন তাঁরা। বাইরে ছিলেন আরেক দল সিবিআই আধিকারিক। সিঁড়ি দিয়ে দোতলার ঘরে উঠে যায় সিবিআই। সেখানে প্রায় দেড়ঘণ্টা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয় দুই আধিকারিকের। তারপর বাড়ি থেকে বের করা হয় তৃণমূল নেতাকে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। যদিও সূত্রের খবর, অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয়নি তাঁকে। গ্রেপ্তারির সত্যতা স্বীকার করেননি অনুব্রতর আইনজীবীও।
এরপর কনভয় করে অনুব্রত মণ্ডলকে বাড়ি থেকে গাড়ি করে বের করে নিয়ে যায় সিবিআই। কুলটির ইসিএলের গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতে পারে তাঁর। এরপর আসানসোল আদালতে তোলা হতে পারে অনুব্রতকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.