সুমন করাতি, হুগলি: রাজনীতির ময়দানে নবাগতা হলেও কথাবার্তায় কিংবা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কোনও অংশে যে একজন নেত্রীর তুলনায় কম নয়, সেটা ভোট প্রচারের মাঠে ঝাঁজেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। প্রচারের ময়দানে কোনও ফাঁক রাখতে চান না বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। তাই তো শুক্রবার হুগলির মা-বোনেদের নারীশক্তির বার্তা দিলেন রচনা। শুধু তাই নয়, ভোটে জিতলে যে হুগলিবাসীর জন্য পুরস্কারও অপেক্ষা করছে, সেকথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সপ্তগ্রাম বিধানসভায় সেনেট বিশালাক্ষীতলা মন্দিরে পুজা দিয়েই শুক্রবার প্রচার অভিযান শুরু করলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রীকে দেখার জন্য স্থানীয়দের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মায়ের কাছে পুজো দিয়ে আগামী দিনে হুগলিবাসীর জন্য কাজের প্রয়াসে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জানান, “আমি হুগলিতে এসে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত। আগামী দিনে হুগলির মানুষদের জন্য কাজ করতে চাই। যত দিন যাচ্ছে ততই অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আর পাশাপাশি দায়িত্বও বাড়ছে।”
দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে যেমন প্রতিযোগীদের পুরস্কারে ভরিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে ভোটে জিতলে হুগলির মানুষ তাঁর কাছ থেকে কী উপহার পাবে? সেই প্রশ্ন ছুঁড়তেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, “আগামী পাঁচ বছর মানুষ আমাকে পাশে পাবে। তাঁদের সুখ-দুঃখ, যাবতীয় অভাব, অভিযোগের কথা আমাকে জানাতে পারবেন।” টেলিপর্দার ‘দিদি’র প্রতিশ্রুতি, “শুধু এখন নয়, ভোটের পরে এবং তার পরেও আমাকে দেখতে পাবেন আপনারা।” তারকা প্রার্থীর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না, ধনিখালির বিদায়িকা অসীমা পাত্র, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা-সহ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ ও তৃণমূলের কর্মীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.