ফাইল ছবি
নিরুফা খাতুন: ভেড়ির ব্যবসার নামে কালো টাকা সাদা করতেন শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)। ভুয়ো ভেড়ির মালিকদের কাছ থেকে মাছ কেনার নামে চলত কালো টাকা সাদা করার কাজ। সোমবার বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর দাবি, আদিবাসীদের জমি দখলদারি সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ডও ছিলেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। শাগরেদদের সামনে রেখে চলত সেই দখলদারিও। আর সেই কাজ করত শেখ শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। এই বিরাট ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। তাদের আর্জি মঞ্জুর করে শাহজাহানকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজত দিয়েছে আদালত।
গত ৩০ মার্চ, শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন তদন্তকারী সংস্থা। তাদের দাবি, এসকে সাবিনা নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করত। তারা ভুয়ো ভেড়ি মালিকদের কাছ থেকে মাছ কিনত। আর এর আড়ালেই সাদা হত কালো টাকা। ইডির আরও দাবি, “এই সিন্ডিকেটে আরও অনেক জড়িত। তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে।” দ্রুত তাদেরও গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা করছে ইডি। সন্দেশখালির মানুষকে বিচার দিতে না পারলে তা দেশের মানুষের কাছে অভিশাপ হবে বলে আদালতে দাবি করে ইডি।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা শাহজাহানের খোঁজ পাননি। পরিবর্তে জখম হন তাঁরা। শাহজাহান অনুগামীদের আক্রমণে ঝরে রক্তও। এই ঘটনার ৫৫ দিন পর রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। এর পর মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বর্তমানে বসিরহাট জেলই ঠিকানা শাহজাহানের। এই মামলায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ইডিও। আদালতের অনুমতিতে গত শনিবার দুপুরে জেলেই শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন ইডি আধিকারিকরা। ওইদিন বিকেলে জানা যায় জেলের ভিতরেই শাহজাহানকে খাতায় কলমে গ্রেপ্তার করে ইডি। যদিও সেই সময় শাহজাহানকে হেফাজতে নেয়নি ইডি। এবার তারা তাঁকে নিজেদের হেফাজতে পেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.