দীপঙ্কর মণ্ডল: সংসদীয় রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে পারেন কংগ্রেস ও সিপিএমের বহু হেভিওয়েট নেতা৷
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ভোটে দাঁড়াতে চাননি৷ পার্টির অনুরোধে তিনি ভোটের ময়দানে পা রাখেন৷ জোটের মুখ হিসাবে গোটা রাজ্যে চষে বেড়িয়েছেন৷ নিজের কেন্দ্র নারায়ণগড়ে হেরে যাওয়ার পর সংসদীয় রাজনীতি থেকে তাঁর সরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ খড়গপুর কেন্দ্রে হেরে যাওয়ার পর কংগ্রেসের জ্ঞান সিং সোহন পালও আর ভোটে দাঁড়াবেন না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ ভোটে হেরে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ সিপিএমের অসীম দাশগুপ্তরও সংসদীয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে৷ জল্পনা চলছে সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরেও৷
হারে বিপর্যস্ত বামেরা এখন আত্মসমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত৷ আলিমুদ্দিনে রাজনৈতিক কাটাছেঁড়া চলছে৷ জোটের ফলে এই বিপর্যয় বলে মানছেন না কেউই৷ বাম নেতাদের মত, জোট না হলে ফল আরও খারাপ হতে পারত৷ সিপিএম শীর্ষ নেতাদের মতে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা লোকসভা পর্যন্ত চলুক৷ তৃণমূলের কোনও নীতি পছন্দ না হলে একসঙ্গে আন্দোলন হোক৷ সূর্যকান্ত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘লড়াই চলবে’৷ কংগ্রেসের তরফে হ্যাঁ বা না কোনও ইঙ্গিতই আসেনি৷ রাজনৈতিক মহলের মত, হেভিওয়েট নেতারা হেরে যাওয়ার পর প্রবলভাবে ভেঙে পড়েন৷ তাঁদের ইগো ধাক্কা খায়৷ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট প্রচারে গিয়ে কর্মীদের কাছে প্রবল সাড়া পেয়েছিলেন সূর্য এবং সোমেন৷ দু’জনই এক মঞ্চ ‘শেয়ার’ করেছেন৷ কিন্তু বিধানসভায় হারের জেরে এই দুই নেতাই আর ভোটে দাঁড়াবেন না বলে অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ খড়গপুরে ‘চাচা’ নামে এক ডাকে সবাই চেনেন জ্ঞান সিং সোহন পালকে৷ তাঁর নামেই ভোট হয়৷ বর্ষীয়ান এই নেতাকে এবার দেখা যাবে না বিধানসভায়৷ তিনিও সংসদীয় রাজনীতিকে বিদায় জানাতে পারেন৷
গতবার হেরে গিয়ে কলকাতা থেকে রায়দিঘিতে থাকতে শুরু করেছিলেন কান্তি৷ ভোটার তালিকায় ওখানেই নাম তুলেছিলেন৷ এবার জেতার বিষয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন৷ কিন্তু ফের হেরে যাওয়ায় আর ভোটে না দাঁড়াতে পারেন৷ গত বিধানসভায় হারের পর পুরভোটে হেরেছিলেন সিপিএমের অসীম দাশগুপ্ত৷ এবারও হার৷ পরপর এই বিপর্যয়ে তিনিও সংসদীয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.