Advertisement
Advertisement
Rhododendron

শিলাবৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি ফুলের কুঁড়ির, প্রশ্নের মুখে রডোডেনড্রন উৎসব

প্রতিবছর নেপাল, দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম ও ভুটানে আয়োজন করা হয় রডোডেনড্রন উৎসব।

Heavy snow damage flower buds, Rhododendron festival in question | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 28, 2023 8:14 pm
  • Updated:March 28, 2023 8:14 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: শিলাবৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতের ঝাপটায় ঝরেছে গাছের পাতা, ফুলের কুঁড়ি। ন্যাড়া হয়েছে উঁচু পাহাড়ের গাছ-গাছালি। এমন পরিস্থিতিতে ‘লালি গুরাঁস ফেস্টিভ্যাল’ অর্থাৎ রডোডেনড্রন উৎসবের আয়োজন অনিশ্চয়তা বাড়ছে। দার্জিলিং, নেপাল থেকে ভুটান পর্যন্ত হিমালয় জুড়ে একই ছবি।  

পর্যটক টানতে ফি বছর এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পর্যটন সংস্থাগুলোর উদ্যোগে নেপাল, দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম ও ভুটানে শুরু হয় ‘লালি গুরাঁস ফেস্টিভ্যাল’। পাহাড়ি ভাষায় রডোডেনড্রনকে আদর করে বলা ‘গুরাঁস’ অথবা ‘লালি গুরাঁস’। নেপাল, দার্জিলিং, ভুটান এবং সিকিমে লালি গুরাঁস ফুটতে পাহাড় যেন লাল আবিরে হোলি খেলে। সবচেয়ে বেশি গুরাঁস মেলে দার্জিলিংয়ের সিঙ্গালিলা রেঞ্জের সান্দাকফু, ফালুট, সিকিমের সোমবারিয়া, লাচেন, সোরেন এবং ভার্সেতে। কালিম্পং থেকে লাভা যাওয়ার পথে অথবা কার্শিয়াংয়ের চিমনিতে ওই ফুল দেখা যায়। যদিও বেশি রডোডেনড্রন ফোটে পশ্চিম সিকিমের উত্তরা, পোখরে, ভার্সেতে৷ দার্জিলিংয়ের জিপ চালক রাজেন বিশ্বকর্মা জানান, এপ্রিলে সান্দাকফু, ফালুটের মতো বরফে ঢাকা পাহাড় গুরাসের ছোয়ায় রূপসী রাজকন্যা হয়ে ওঠে। তখন লাল পাপড়ি বিছানো রডোডেনড্রন গাছতলায় তাবুতে থাকতে পছন্দ করেন পর্যটকদের অনেকেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখ ফিরিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ কার্যকরের দাবিতে গণঅনশনে কয়েকশো বানভাসি]

দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় খান্না বলেন, “এমন নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগের নেশায় প্রতি বছর কয়েক হাজার পর্যটক ভিড় জমান। এবার বেশি ভিড়ের আশা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া শেষ করে ছেড়েছে।” রডোডেনড্রন ফুলের রং টকটকে লাল, গোলাপি, সাদাও হয়ে থাকে। তবে সাদা রডোডেনড্রন দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড়ে মেলে না। সেটা দেখতে অনেকেই সিকিমে পাড়ি দেন। তবে পাহাড়ে নীচের দিকে ওই ফুল খুব একটা দেখা যায় না। শৈল শহরের পাশে সোনাদা অথবা তাকদার দিকে দু’একটা ফুল হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু ফুলের জলসাঘর দেখতে পৌঁছতে হবে সান্দাকফুর রাস্তায়। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ওই ফুলের মেলা চলে। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, “একটি গাছে রডোডেনড্রন ফুল আসতে প্রায় কুড়ি বছর সময় লাগে৷ ওই মূল্যবান গাছ বাঁচাতে গ্রামবাসীদের নিয়ে ‘ইকো ক্লাব’ গঠন করা হয়েছে।”

এবার ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে পাহাড়ের আবহাওয়া খারাপ। একদিকে যেমন ছিল ভারী তুষারপাত। ঠিক তেমন অন্যদিকে ছিল শিলাবৃষ্টি। ফলে রডোডেনড্রনের পাতা, কুড়ি সবই ঝরেছে। ফুল তেমন নেই। তিনি জানান, ওই পরিস্থিতিতে এপ্রিলে লালি গুরাঁস ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না বুঝতে পারছি না। পরিস্থিতির কথা ইতিমধ্যে উৎসাহী পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: UGC’র নিয়ম ভেঙে ক্লাস পিছু মাত্র ৩০০ টাকায় অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি! বিতর্কে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement