অরূপ বসাক, মালবাজার: দু’দিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মালবাজার মহকুমায়। ফলে ক্রমেই জল বেড়েছে ডুয়ার্সের নদীগুলির। ফলে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ঘিস নদী এবং তার পাশ্ববর্তী এলাকার নদীগুলি। বৃষ্টির ফলে বিপর্যস্ত মালবাজারের জনজীবন। যদিও মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমেছে বৃষ্টি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে পরিস্থিতি।
সোমবার রাত থেকেই পাহাড় ও সমতলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ক্রমেই বাড়ছে ডুয়ার্সের নদীগুলির জলস্তর। আর রমতি খোলার জল অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৩১ নাম্বার জাতীয় সড়ক। রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ। কিছু কিছু বড় গাড়ি চলছে ঝুঁকি নিয়েই। কিন্তু তা নাম মাত্র। রাস্তার দুপাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে বহু গাড়ি। কারণ, যেকোনও সময় জলের শ্রোতে ভেসে যেতে পারে গাড়ি। রাস্তার উপর বিপজ্জনকভাবে যেভাবে রমতি খোলার জল বইছে তাতে সাহস করে ঘর থেকে বের হতে চাইছে না কেউ। কার্যত ঘরবন্দি এলাকার বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টিতে একই অবস্থা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার।
এক নিত্যযাত্রী আনন্দ আগরওয়াল ও বাবলু ওড়াও বলেন, “যেভাবে রাস্তার ওপর দিয়ে জল বইছে তাতে জলের শ্রোতে গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমরা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছি। জল কমলে তবেই যাব।” স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল সরকার, মহম্মদ রিয়াজ বলেন, “যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কও। বর্তমানে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে রমতি খোলার জল বইছে। একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার দরুণ পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।” অন্যদিকে, রাস্তার ওপর দিয়ে এই জল প্রবাহিত হওয়ার কারনে ঘিস বস্তি এলাকায় বহু চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যদিও মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি কমেছে। ধীরে ধীরে রাস্তার উপর থেকে জল নামতে শুরু করেছে। তবে জলের কারণে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে মালবাজারের মহকুমাশাসক বিবেক কুমার বলেন, বর্তমানে জল রাস্তা থেকে নেমে গিয়েছে। তবে বরাবরই বৃষ্টি হলে এই পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.