স্টাফ রিপোর্টার: দু’দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে৷ ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’-ই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷
দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এখন প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি চলছে৷ বৃহস্পতিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে৷ দাপট না থাকলেও তাতে বর্ষার আগমনি স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল৷ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কেরল শাখাটি৷ সব ঠিকঠাক থাকলে শনিবারের মধ্যেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের মাটি স্পর্শ করবে মৌসুমি বায়ূ৷
সাধারণত, ৮ জুন এ রাজ্যে পা রাখে বর্ষা৷ দু’টি পথ ধরে মৌসুমি বায়ু ঢোকে৷ একটি আন্দামান থেকে মায়ানমার হয়ে উত্তরবঙ্গে৷ অন্যটি কেরল উপকূল হয়ে দক্ষিণবঙ্গে৷ কেরল শাখাটি মাঝপথে থমকে গেলেও মায়ানমার শাখাটি মঙ্গলবারই উত্তরবঙ্গে ঢুকেছে৷ দক্ষিণবঙ্গ অবশ্য চাতকের মতোই তাকিয়ে ছিল কেরলের দিকে৷ অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি পাবে রাজ্য৷ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে৷ আর রবিবার থেকে তো পুরোদস্তুর বৃষ্টি৷
উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ এদিনও হয়েছে৷ কোচবিহারে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৮৭.৮ মিলিমিটার৷ এবার দক্ষিণেও ইনিংস শুরু করতে চলেছে বর্ষা৷
দু-তিনদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়৷ প্রথম দফার বৃষ্টিতে যথেষ্ট দাপট ছিল৷ এ দিন অবশ্য ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পেয়েছে মহানগর৷ অফিস-কাছারি সেরে বাড়ি ফেরার পথে অনেকেই বৃষ্টির গুঁড়ো গায়ে মেখেছেন৷ কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া-হুগলি সর্বত্রই শুরু হয়েছে বৃষ্টি৷ তবে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে৷ এ দিন আমতার রসপুর গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় বাবা ও পুত্রের৷ মাঠে সবজি তোলার সময়ই বজ্রঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের৷ মৃতের নাম সনাতন ছউলে (৪৬) ও প্রীতম ছাউলে (১৮)৷ জখম হন রবীন আদক নামে আর এক কৃষক৷ তাঁকে আমতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.