Advertisement
Advertisement

প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের রেল চলাচল, জলের তলায় কিষাণগঞ্জ

কোচবিহারে কেন্দ্রের বন্যা সতর্কতা।

Heavy rain disrupted rail service
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 13, 2017 3:15 am
  • Updated:August 13, 2017 3:15 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার ও ঝাড়খণ্ডের প্রবল বর্ষণের ধাক্কায় জেরবার বাংলা। বিহারের কিষাণগঞ্জে রেললাইন ভেসে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হয়েছে সড়ক পরিবহণও। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু নদীতে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। কোচবিহারের অবস্থা খারাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে সতর্ক করেছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস আরও তিনদিন এই পরিস্থিতি চলতে পারে।

[চোখ বেঁধে ৩ লক্ষ গণেশ মূর্তি গড়ে নজির শিল্পীর]

মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় হয়েছে। তার সঙ্গে জুড়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে কার্যত ভাসছে উত্তরবঙ্গ। বিহারে লাগাতার বৃষ্টিতে কিষাণগঞ্জে রেললাইন ডুবেছে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে গুরুত্বপূ্র্ণ স্টেশন কিষাণগঞ্জ। বিহারের এই স্টেশন জলের তলায় চলে যাওয়ায় রেল যোগাযোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বীরভূমের মুরারই স্টেশনে রাত দুটো থেকে আটকে আপ দার্জিলিং মেল। অবস্থা বেগতিক বুঝে বেশ কিছু আপ ট্রেনকে আবার শিয়ালদহ বা হাওড়ায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। মালদহ, রামপুরহাট, ডালখোলা, ফরাক্কা স্টেশনে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। এই পরিস্থিতির জেরে হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন ছাড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। একই অবস্থা নিউ জলপাইগুড়িতে। ডাউন ট্রেন কখন ছাড়া হবে তা জানা যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গের বৃষ্টিতে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ট্রেন চলাচল কার্যত বিপর্যস্ত। গুয়াহাটিগামী অধিকাংশ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ট্রেন কখন চলবে তা নিয়ে অন্ধকারে খোদ রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ বিহারে জল কমার কোনও লক্ষণই নেই। বৃষ্টি না থামায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ায় রেলযাত্রীরা প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন। খাবার, পর্যাপ্ত জল না থাকায় তার রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।

Advertisement

[এক ফুট লম্বা আঙুল, গ্রামবাসীদের কাছে ‘শয়তান’ বলে পরিচিত এই কিশোর]

এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দপ্তরও কোনও সুখবর দিতে পারেনি। ঘূর্ণাবর্তের দাপটে আরও তিন দিন অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষণের ধাক্কায় সবথেকে খারাপ অবস্থা কোচবিহার জেলার। তুফানগঞ্জে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। মানসাই, কালজানি ও রায়ডাক নদীতে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। কোচবিহারে বন্যা পরিস্থিতি কেন্দ্র রাজ্যকে সতর্ক করেছে। কোচবিহারের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের একাংশ জলমগ্ন। তিনটি জেলায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জলবন্দি। তাদের জন্য খোলা হয়েছে ৭০০টি ত্রাণ শিবির। বৃষ্টি থেকে ছাড় পাচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গও। দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement