রঞ্জন মহাপাত্র ও সুরজিৎ দেব: ধেয়ে আসছে ‘যশ’ (Cyclone Yaas)। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার আছড়ে পড়বে উপকূলে। তার আগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিঘা ও সুন্দরবন-সহ গোটা রাজ্যেই আকাশের মুখভার। জোয়ারে উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজেছে জেলা।
আগামিকাল পূর্ণিমা, তার আগে কোটালের জল বাড়ায় মঙ্গলবার সকালেই সাগরের মহিষমারি, পাথরপ্রতিমার ভারাতলা, পাথরপ্রতিমা বাসস্ট্যান্ডে বাঁধ টপকে জল ঢুকেছে। সাগরের ধবলাটের মনসাবাজার এলাকায়ও জল ঢুকেছে। এদিন কুলপির বাসুদেবপুর কর্মতীর্থ, কামারচক গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডায়মন্ডহারবারের মহকুমাশাসক, কুলপির বিডিও ও বিএমওএইচ, ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ এবং এডিএম জেলা পরিষদ। এই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া দুর্গত মানুষদের এদিন ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা ও টিকা দেওয়া হয়। জেলাশাসক জানান, “এপর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর ও সুন্দরবন পুলিশ জেলায় মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ত্রাণশিবিরগুলিতে কোভিড প্রোটোকল মেনেই সকলকে রাখা হচ্ছে।” ঝোড়ো হাওয়ার দাপট এবং পূর্ণিমার কোটালে বুধবার নদী ও সমুদ্রের জল আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোসাবা ও পাথরপ্রতিমায় কয়েকটি জায়গায় বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তা মেরামত করে দেওয়া হয় এদিন।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জামড়ার শ্যামপুর কাইমা গ্রামে সমুদ্রের বাঁধ উপচে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে যায়। রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। রামনগর ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি শম্পা মহাপাত্র বলেন, ‘‘সোমবার রাতেই তাজপুর, জলধা-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। যার জেরে জামড়া, শ্যামপুর, তাজপুর এলাকার সমুদ্র বাঁধের অনেক জায়গায় জল গ্রামে ঢুকছে। শুরু হয়েছে রাস্তা কেটে জল বার করে দেওয়ার কাজ। এলাকার বাসিন্দাদেরও দ্রুত সরানো হয়েছে।’’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.