স্টাফ রিপোর্টার: শহর কলকাতায় মরু হাওয়া! হ্যাঁ৷ রাজস্থানের জয়সলমীর, যোধপুর, বিকানেরের মতো শহরে গরমকালে যেমন হাওয়া বয় তেমনই কষ্ট সইতে হচ্ছে এ শহরকেও৷ সকাল থেকেই বাইরে শুকনো গরম হাওয়া৷ গলা শুকিয়ে যাচ্ছে৷ জিভ যেন আড়ষ্ট৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অসুখ৷ পেটের সমস্যা, আমাশা, জ্বর, সর্দি, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া প্রভৃতি রোগে ভুগছেন সাধারণ মানুষ৷ মাঝ এপ্রিলেই এই হাল৷ যত দিন এগোবে তত গরম বাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷ মঙ্গলবার বেলা বারোটার আগেই কলকাতার রাজপথ অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে৷ অফিস-আদালতে হাজিরা অনেকটা কম ছিল৷ কারণ, আন্ত্রিক ও সর্দিজ্বরের প্রকোপ৷
[এবার রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশন করারও মাত্রা বাঁধবে কেন্দ্র]
এমন অবস্থায় আশার কথা শোনাতে পারল না হাওয়া অফিস৷ জানা গিয়েছে, আপাতত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই৷ নেই কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও৷ উপগ্রহ চিত্রে মেঘের দেখা মেলেনি৷ হাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন, এখন যা পরিস্থিতি তার চেয়ে ভোগান্তি আরও বাড়বে৷ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে কয়েকদিন ধরেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ আবহাওয়া পরিমণ্ডলে উচ্চচাপের দুর্বলতার সুযোগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে শুষ্ক-গরম হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়ছে৷
[আগামী ১৪ মে থেকে প্রতি রবিবার বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প]
এদিন সকাল থেকে শহরে চড়চড় করে তাপমাত্রা বেড়েছে৷ কম আর্দ্রতার কারণে শহরে যেন ‘লু’ বইছে৷ মঙ্গলবার তাপমাত্রার পারদ ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি৷ যা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ডিগ্রি বেশি৷ শ্রীনিকেতন ও বর্ধমানের কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷ গরম থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মানুন৷ আর –
[সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত ভারতীয় জাহাজ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.