রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সমুদ্রে ফেরানোর চেষ্টা ব্যর্থ। তার আগেই মৃত্যু পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানা এলাকার উদবাদাল খালে সাঁতরে বেড়ানো ডলফিনের। শনিবার সকালে নেতুড়িয়ার কাছে মুগবেড়িয়া খালে ওই ডলফিনটির দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বনকর্মীরা ডলফিনের দেহ উদ্ধার করেছে। ডলফিনের মৃত্যুর নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের পরই। ডলফিনের মৃত্যুতে বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানা এলাকার উদবাদাল খালের ভিতর দিয়ে কিছু একটা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। নজর পড়তেই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন তা ডলফিন। গ্রামের খালে ডলফিন, একথা শুনেই অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। রাস্তার ধারের খালে ডলফিনের আগমনের কথা লোকমুখে প্রচার হতে বেশি সময় লাগেনি। আর ডলফিনের কথা শুনেই তা দেখতে ভিড় জমান কয়েক হাজার মানুষ। স্কুল পড়ুয়া থেকে কচিকাঁচা, আট থেকে আশি সকলেই ভিড় জমান খালের পাড়ে। তবে কীভাবে ওই খালে ডলফিনটি এল তা বুঝতে পারেননি বনকর্মীরাও।
খবর পেয়ে শুক্রবার দিনভর ওই খালের পাশে বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বারবার ডলফিনটিকে ধরার চেষ্টা করা হয়। তবে কোনওভাবেই তাকে ধরা যায়নি। যাতে ডলফিনটির কোনও ক্ষতি না হয় তাই খালের পাশে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। কারণ শনিবার সকালে নেতুরিতার কাছে মুগবেড়িয়া খালে ওই ডলফিনটির দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান বনকর্মীরা। তার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বনকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই খাল ভীষণভাবে দূষিত, তাই হয়তো মৃত্যু হয়েছে গ্যাঞ্জেটিক ডলফিনের।
এছাড়াও ডলফিনের শরীরে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। কিন্তু কীভাবে লাগল আঘাত? বনকর্মীদের দাবি, খালের ভিতর মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেছিলেন। ওই জালের মাধ্যমে আঘাত পায় ডলফিনটি। আপাতত ডলফিনটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ডলফিনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বনদপ্তরের কর্মীরা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মারা গেল ডলফিনটি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.