ছবি: প্রতীকী
চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: করোনায় মৃতের দেহ আনতে গিয়ে হতবাক স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাড়ি ঢুকতেই দেখলেন, সোফায় বসে টিভি দেখছেন সেই ব্যক্তি। ঘটনায় স্তম্ভিত অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ ধাদকা এলাকায়।
করোনা আক্রান্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ফোন করে উত্তর থানার পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব রেখা চট্টোপাধ্যায়। ছেলের নাম সৌমেন চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ জানতে পেরেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে মৃতদেহ উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। দক্ষিণ ধাদকা এলাকায় পৌঁছে যায় করোনা স্পেশ্যাল অ্যাম্বুল্যান্স। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে ঢুকতেই চমক। দেখেন, সৌমেনবাবু সোফাতে বসে রয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকেই সৌমেনবাবু জানতে পারেন তাঁর মা এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের বুঝিয়ে বলেন, তাঁর মা মানসিক ভারসাম্যহীন। এরপরেই ফিরে যায় স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, সৌমেনবাবু ঝাড়খণ্ডের পাকুরে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। অসুস্থ থাকায় তিনি ফিরে এসেছেন। সৌমেনবাবু বলেন, “আমার মা মানসিক বিকারগ্রস্ত”। ঘটনার কথা স্বীকার করেছে উত্তর থানার পুলিশও। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা মানসিকভারসাম্যহীন তা বোঝা যায়নি। তবে পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ উত্তর থানার পুলিশ ও স্বাস্থ্যবিভাগ। প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযোগ উঠছে, করোনায় কারোর মৃত্যু হলে তাঁদের দেহ সময়মতো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। কলকাতায় দেহ রেফ্রিজেরেটরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু আসানসোলে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু এরকম ভুয়ো ফোন করে হয়রান করলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.