শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এবছর মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেষ্টার কোনও খামতি ছিল না। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছিল, পরীক্ষার শুরুর ৪০ মিনিট আগে রাজ্যের সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে একসঙ্গে প্রশ্নপত্র খোলা হবে। কিন্তু, হলে কী হবে! সরষের মধ্যেই যে ভূত! প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র খুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন ময়নাগুড়ির সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলের অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজার মন্টু রায়কে। অন্য একজনের তত্ত্বাবধানে মাধ্যমিকে বাকি পরীক্ষাগুলি হয়েছে সুভাষনগর হাইস্কুলে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়ের সাফাই, পরীক্ষার সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রশ্ন খুলে ফেলেছিলেন তিনি।
[কেনা ঘিয়ে নেই চেনা গন্ধ, বাজার থেকে আনা প্রিয় জিনিসটা নকল নয়তো!]
বিতর্কে সূত্রপাত্র গত সোমবার। ওইদিন মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। অভিয়োগ, পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা আগেই অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খুলে ফেলেন ময়নাগুড়ির সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক হরিদয়াল রায়। ঘটনায় সময়ে স্কুলের অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজার মন্টু রায়কে পান কিনতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মন্টু রায় নীলকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষক। ময়নাগুড়ির সেক্টর অফিসার বিশ্বনাথ ভৌমিক জানিয়েছেন, সোমবার পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে মন্টু রায়কে রাস্তায় দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। স্কুলে গিয়ে তিনি দেখেন, অংকের প্রশ্ন খুলছেন প্রধান শিক্ষক। সেই ছবি মোবাইলে ক্যামেরায় তুলে শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দেন সেক্টর অফিসার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ময়নাগুড়ির ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্টু রায়কে। মাধ্যমিক বাকী পরীক্ষায় সুভাষনগর হাইস্কুলের অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজার ছিলেন অন্য একজন। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, শুধু মাধ্যমিকেই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে বোর্ডের নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক।
[তাড়িয়ে দিয়েছে ছেলে, রাস্তায় ঠাঁই বৃদ্ধার]
এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনও। জেলাশাসকের নির্দেশে মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ। সুভাষনগর হাইস্কুলে তাঁর উপস্থিতিতেই পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়। এদিকে অভিযোগ দায়ের করার সেক্টর অফিসার বিশ্বনাথ ভৌমিকের উপর নানাভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে অভিযোগ।
[জঙ্গলে দুই কন্যাকে ফেলে পলাতক মা, উদ্ধার শবর দম্পতির চেষ্টায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.