ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: লকডাউনের (Lockdown) জেরে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে বন্ধ রেল চলাচল। শুনশান স্টেশন চত্বর। ফলে বন্ধ প্ল্যাটফর্ম এবং স্টেশন চত্বর লাগোয়া ছোট দোকানগুলিও। বড়সড় লোকসানের মুখে হকাররা। কিন্তু উৎসবের মরশুমে তাঁদের জীবনযাত্রা একেবারে খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় তাঁদের দাবি, স্টেশন চত্বরে দোকানগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। এই দাবিতে আজ দীর্ঘক্ষণ বারাসত (Barasat) স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান হকাররা। স্টেশন মাস্টারের ঘর ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে জিআরপি, আরপিএফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের জন্য লকডাউন। বন্ধ রেল চলাচল। আর সেই সঙ্গে ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন স্টেশনের ছোট ছোট গুমটি দোকানগুলিও। বিপুল লোকসানের মুখে হকাররা। এবার সামনে উৎসবের মরশুম। হকাররা জানাচ্ছেন, এই সময়েও এভাবে দোকানের ঝাঁপ বন্ধ থাকলে জীবনধারণই কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে তাঁদের পক্ষে। এদিকে, রেলকর্মীদের জন্য সীমিত সংখ্যায় ট্রেন চলছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে হকারদের দাবি, অন্তত এবার প্ল্যাটফর্ম এবং স্টেশন চত্বরের দোকানগুলি খুলতে দেওয়া হোক। তাহলে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন এবং রেল চত্বরের আশেপাশের মানুষজন এসব দোকানে কেনাবেচা শুরু করলে, তাঁরা কিছুটা আয়ের মুখ দেখতে পাবেন।
এই দাবি নিয়ে সোমবার বেলার দিকে রেল হকার্স ইউনিয়নের তরফে বারাসত স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বড় হোর্ডিং নিয়ে মিছিল করেন হকাররা। এরপর স্টেশন মাস্টারের ঘর ঘিরে ধরে তাঁরা অনুমতি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনেও উঠে পড়েন কয়েকজন হকার। সবমিলিয়ে এই বিক্ষোভে শামিল হন প্রায় পাঁচশ হকার। প্রত্যেকের একটাই দাবি, ট্রেন না চললেও রেল এবার তাঁদের দোকান খোলার অনুমতি দিক।
এদিকে, রেল এ বিষয়ে একেবারেই কঠোর। লোকাল ট্রেন চালু হওয়া এখনও অনিশ্চিত। স্টেশন চত্বরে কোনও ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। ফলে বারাসতের হকারদের প্রতিবাদের স্বর আরও চড়ছে। এদিন বারাসত স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ ধরে হকার বিক্ষোভ চলতে থাকলে ঘটনাস্থলে যায় জিআরপি। অশান্ত পরিস্থিতি শান্ত করে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিলে ওঠে বিক্ষোভ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.