Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rail

স্টেশন চত্বরে কোভিডবিধি মানছেন না বহু হকার, যাত্রীরা প্রতিবাদ করতেই অশান্তি

কোথাও কোথাও বিধি ভেঙে ট্রেনে উঠে পড়ছেন হকাররা।

Local news in Bengali: Hawkers does not obey COVID protocol in railway stations | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 15, 2020 6:15 pm
  • Updated:November 15, 2020 6:15 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: লোকাল ট্রেনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বাড়ছে যাত্রী সংখ্যাও। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন বসে থাকা হকাররা (Hawkers) স্টেশনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা শুরু করেছে। প্রবল বাধার মুখে পড়ে দমদম, সোনারপুর, বর্ধমান, নবদ্বীপে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা।

তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ট্রায়াল হিসাবে একেবারে স্টেশনের মুখে বসে পড়েছেন তাঁরা। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনের গেটের মুখ থেকে সাবওয়ে ভিতর যে যার পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন। কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও প্রকার স্বাস্থ্যবিধি (COVID Protocol) না মানায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরাই। রবিবার গোঁড়া স্টেশন চত্বরে এনিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বচসাও বাঁধে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে দেখে ফেলেন বাবা-মা, ভয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিল চন্দননগরের কিশোরী]

অভিযোগ, দূরত্ব শিকেয় তুলে ডালা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। উপরন্তু মাস্ক নেই অধিকাংশের মুখে। যদিও কেউ রেখেছেন তো তা গলায় ঝুলিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। হাওড়া আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য বলেন, “অসংগঠিত হকারদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ বিধি কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। অতিমারী ঠেকানোর সব পথ নিতে হবে।”

কালীপুজো ও রবিবার ট্রেন বেড়ে হাওড়ায় হয়েছে ৩৬৯ ও শিয়ালদহে হয়েছে ৫৩১। মঙ্গলবার থেকে ট্রেনে ভিড় বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে স্টেশন ও ট্রেনে হকার নিয়ন্ত্রণ করতে রেল চাইলেও হকাররা নিষেধাজ্ঞা কতটা মানবেন তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। দূরের স্টেশনগুলিতে তাঁরা বসতে শুরু করেছেন একে একে। ট্রেনেও উঠে পড়ছেন অনেকেই। যাত্রীদের কথায়, বিধিগুলো মেনে চলুক তাঁরা।

[আরও পড়ুন : করোনা কাঁটা কাঁকসায়, আদালতের নির্দেশে কালীপুজোর বিসর্জনের রীতিতে ছেদ]

এ প্রসঙ্গে শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “যাত্রীরাই প্রতিবাদ করুক। মাস্ক না পরলে তাঁরা হকারদের বর্জন করুক। তবেই শিক্ষা হবে।” রবিবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনের বাইরে এমন প্রতিবাদ করায় যাত্রীদের সঙ্গে বচসা বাধে বলে অভিযোগ। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানান, “ওই অঞ্চলগুলি রাজ্যের। ফলে এই মুহূর্তে রেলের কিছু করার নেই।” তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোন্নগর রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “যাত্রীরা হকারদের প্রতি সহানুভূতিশীল অতএব হকারদের উচিত যাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়া। কোভিড বিধি মানতেই হবে। এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement