সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ২১ দিন লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য সরকারও পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট তৎপর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে খোলা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। প্রতিটি হাসপাতালে তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। দেশের এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে যাতে তাঁর ‘দ্য রায়চক রিসর্ট’ বা ‘ফোর্ট রায়চক’ ব্যবহার করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই আবেদনই করলেন তিনি। শিল্পপতির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাজনৈতিক থেকে চিকিৎসকমহল।
ইতিমধ্যেই এই রিসর্ট পাকাপাকিভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসডিওর হাতে তুলে দিয়েছেনে নেওটিয়া। আর কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। শিল্পপতি জানিয়েছেন, করোনা ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এই সময় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য যা প্রয়োজনীয়, তার সবটাই করতে তিনি প্রস্তুত। তাই নিজের রিসর্টটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। এই রিসর্টে মোট ৩০টি স্যুইট রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতিটিই যাতে করোনার কাজে ব্যবহার করা হয়, তার আবেদন করেছেন নেওটিয়া।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত স্কুল-কলেজ-পরিবহণ ব্যবস্থা, সিনেমা হল, শপিং মল ইত্যাদি বন্ধ। তা সত্ত্বেও সবজি বাজার কিংবা ওষুধের দোকানে লম্বা লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “খুব প্রয়োজন না হলে বাজারে যাবেন না। অযথা ভিড় করবেন না। পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। মাস্ক পরে থাকুন।” জরুরি পরিষেবা হিসেবে খবরের কাগজ মানুষের বাড়িতে সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে দেওয়ারও পরামর্শ দেন মমতা। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গে সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পৌঁছে যান আর জি কর হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার ও প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার। এরপরই পৌঁছে যান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। হাজির হন এনআরএস এবং এসএসকেএম হাসপাতালেও। সেখানেও মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেন কর্তৃপক্ষের হাতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.