Advertisement
Advertisement
Haroa

যত ভোট, তত উন্নয়ন! হাড়োয়া উপনির্বাচনের প্রচারে নারায়ণ গোস্বামীর মন্তব্যে বিতর্ক

অঞ্চল ভিত্তিতে স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রতিযোগিতায় নামাতে চাইলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি।

Haroa By-election: TMC leader Narayan Goswami makes controversial comment on win and developement
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 8, 2024 5:55 pm
  • Updated:November 8, 2024 6:09 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: যে অঞ্চলে তৃণমূল প্রার্থী বেশি লিড পাবে, সেই অঞ্চলে বেশি উন্নয়ন হবে। হাড়োয়া উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভায় এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে বিতর্কে জল ঢালতে নারায়ণ গোস্বামীর দাবি, দলীয় কর্মী, সমর্থকদের উৎসাহিত করতে, ভোট ময়দানে তাঁদের প্রতিযোগিতায় নামাতেই এই মন্তব্য। এতে বিতর্কের কিছু নেই।

হাড়োয়া বিধানসভার উপনির্বাচনে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে শেখ রবিউল ইসলাম। তাঁর সমর্থনে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফলতি-বেলিয়াঘাটা অঞ্চলের বেলিয়াঘাটা স্কুল মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, টলিউড অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে উপস্থিত অঞ্চল নেতাদের নাম ধরে ধরে নারায়ণ বলেন, “এই অঞ্চলের নেতারা আমার অত্যন্ত প্রিয়। এখানে যাঁরা রয়েছেন, সকলেই আমার খুব আপন। আমি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে তাঁদের বলছি, আপনারা যে যত বেশি ভোটে জেতাবেন, সেই এলাকায় জেলা পরিষদের টাকায় বেশি উন্নয়ন হবে।”

Advertisement

কাজের জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ কত অর্থ পায়, তা উল্লেখ করে সভাধিপতির আরও সংযোজন, “আমার নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরে জেলা পরিষদের ৭০০ কোটি পাঠান গোটা জেলার উন্নয়নের জন্য। পাশের ত্রিপুরা রাজ‍্যের বার্ষিক বাজেটের থেকেও আমাদের জেলা পরিষদের বাজেট বেশি। তাই যে অঞ্চল যত বেশি ভোটে জেতাবেন, সেই অঞ্চলে বসে আমি তত বেশি অর্থ খরচ করে উন্নয়ন করব। রবিউলকে ভোট দিন, তৃণমূলকে জেতান।” বক্তব্যর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, সভাধিপতি বলেই কি যেভাবে খুশি উন্নয়নের মাপকাঠি ঠিক করে দেবেন? যেখানে তৃণমূল ভোট কম পাবে সেখানের সাধারণ মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবেন কেন? উপনির্বাচনের আবহে এনিয়ে জোর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হতেই মন্তব্য সম্পর্কে নারায়ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “এমনিই আমরা হাড়োয়া বিধানসভায় লক্ষাধিক ভোটে জিতব। সুষ্ঠ প্রতিযোগিতা সব ক্ষেত্রেই ভালো। একটা অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আরেকটা অঞ্চলের নেতাদের সুষ্ঠ প্রতিযোগিতা হোক না! তাই উৎসাহ দিতেই এমনটা বলা।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement