সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শরীরে চোখ এবং চামড়া নেই। অর্থাৎ শরীরে চামড়ার কোনও আস্তরণ নেই। এমনকী থাকে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় ”হার্লেকুইন ইকথায়োসিস”। প্রতি ৩ লক্ষ শিশুর মধ্যে একজন মাত্রই জন্মগত এই ব্যাধি নিয়ে জন্মায়। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের মহকুমা হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জন্ম নিয়েছে শিশুটি।
এদিন দুর্গাপুরের মহকুমা হাসপাতালে চোখ, চামড়া ছাড়াই শিশুটি জন্ম নেয়। মাতৃগর্ভে ”হার্লেকুইন ইকথায়োসিস” নামের এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হয়ে এই শিশুটি জন্মেছে। জানা গিয়েছে, বংশগত কারণে এই ধরণের শিশুর জন্ম হয়। সমীক্ষা বলছে, প্রতি ৩ লক্ষ শিশুর মধ্যে একজন এই জন্মগত অসুখ নিয়ে জন্মায়। এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সুদেষ্ণা মন্ডল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে মহকুমা হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির মা’র নাম সীমা বাউড়ি এবং বাবার নাম দীপক বাউড়ি। এই দম্পতি কাঁকসার সিলামপুরের বাসিন্দা।
শিশুটিকে বর্তমানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। কৃত্রিম উপায়ে বাইরে থেকে মেশিনের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে নাগপুরে ভারতের প্রথম ”হার্লেকুইন ইকথায়োসিস” শিশুর জন্ম হয়েছিল। তবে দুর্গাপুরে জন্ম নেওয়া শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। কারণ শিশুটির চোখ নেই। তবে সাধারণত এই ধরণের শিশু খুব বেশিদিন বাঁচে না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.