ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গোসাবার (Gosaba) বিধায়কের (MLA) বাড়িতে মিলল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। বুধবার গভীর রাতে বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের দক্ষিণ ২৪ পরগনার চুনাখালির বাড়ি থেকে মেলে লাবণ্য হালদার নামে ওই যুবকের দেহ। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কী কারণে আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, লাবণ্য নামে ওই যুবকের বাড়ি গোসাবার পাঠানখালী এলাকায়। বাম আমলে লাবণ্যের বাবা এবং মাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় সিপিএম নেতা হাকিম মোল্লার বিরুদ্ধে। তখন লাবণ্যের বয়স ছিল ১৫ বছর। সেই থেকেই জয়ন্ত নস্করের বাড়িতেই থাকতে শুরু করে লাবণ্য। লেখাপড়ার জন্য তাকে রাখা হয়েছিল সোনারপুরে। কিন্তু লকডাউনে সোনারপুর থেকে লাবণ্য ফিরে যায় চুনাখালিতে বিধায়কের বাড়িতে। এরপর বুধবার রাতে বাড়ির পরিচারিকা তার ঘরে খাবার দিতে গিয়ে দেখে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন লাবণ্য। খবর পেয়ে ছুটে যান বিধায়ক। নিরাপত্তারক্ষীরা গিয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে নামিয়ে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে বিধায়ক বলেন, “অনেক ছোট থেকেই ও আমার বাড়িতে থাকত। আমি ওকে বড় করছিলাম।হঠাৎ করে কেন এইরকম ঘটনা ঘটালো তা বুঝতে পারছি না।” জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের ঘর থেকে মিলেছে তিনটি সুইসাইড নোট মিলেছে। নিহতের হাতের লেখার সঙ্গে সুইসাইড নোটের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এই ঘটনার পিছনে প্রণয়ঘটিত বিবাদ রয়েছে। নিহতের বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি মেয়ের সঙ্গে মৃতের সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে সম্প্রতি সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে কী সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.