ছবি: প্রতীকী
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: জাতীয় স্তরের এক মহিলা বডি বিল্ডারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। রবিবার সকালে শ্রীরামপুরে দিল্লি রোডের ধারে ভূষণ কারখানার আবাসন থেকে ওই মহিলা বডি বিল্ডারের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরই এলাকার মানুষ দাবি করেন, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে আত্মত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই ক্রীড়াবিদ। মৃতার বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীরামপুর (Serampore) থানার পুলিশ।
মৃতার পারিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলা ও তাঁর স্বামী অম্বরীশ সেন দুজনেই বডি বিল্ডার। স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার পাশাপাশি একটা জিম চালাত। সেখানে তার স্ত্রীও জিমে ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিতেন। জাতীয় স্তরে দু’জনেই দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় মিস ইন্ডিয়া ও মিস্টার ইন্ডিয়া হন। সেখান থেকেই দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে তারা বিয়ে করেন। দিল্লি রোডের ধারে ভূষণ কারখানার আবাসনে স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। ওই দম্পতির দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। মৃতার দিদি জয়শ্রী পাঠক ও বাবার অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জিমের একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে অম্বরীশের। মঙ্গলা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এনিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। রবিবার সকালে আবাসনের ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায় মঙ্গলাকে।
মৃতার দিদির অভিযোগ, তার বোনকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মৃতার ভাসুর ধ্রুবজ্যোতি সেন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান তার ভাই কখনই এই কাজ করতে পারে না। তিনি জানান, দাদা বৌদির মধ্যে যেরকম ভালবাসা ছিল, সেরকম আবার দু’জনের মধ্যে ঝগড়াও হত। কিন্তু ভাই তাঁর স্ত্রীকে মারতে পারেন না। এদিকে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রীরামপুর থানায় অম্বরীশের বিরুদ্ধে মারধোর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে অম্বরীশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে রবিবার শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.