Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hand fan still reigning in the era of AC and air coolers

প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে চাহিদা, এসি ও এয়ার কুলারকে টেক্কা তালপাতার হাতপাখার

কাটোয়ার বাগটোনা গ্রামের হস্তশিল্পীরা এখনও তৈরি করেন তালপাতার হাতপাখা।

Hand fan still reigning in the era of AC and air coolers । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 13, 2023 4:10 pm
  • Updated:May 13, 2023 4:10 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রচণ্ড দাবদাহে বাড়ছে এসি ও এয়ার কুলারের চাহিদা। কিন্তু এখনও তালপাতার হাতপাখার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়নি। এসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে টিকে রয়েছে সেই আদ্যিকালের হাতপাখা। ক্রমশ বাড়ছে চাহিদা। কাটোয়ার বাগটোনা গ্রামের হস্তশিল্পীরা এখনও তৈরি করেন তালপাতার হাতপাখা। তাঁদের তৈরি হাতপাখা স্থানীয় এলাকা ছাড়াও যাচ্ছে অন্যান্য জেলায়।

কাটোয়ার ১ নম্বর ব্লকের শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েতের বাগটোনা গ্রামের থাণ্ডার পাড়ার ৪০-৫০ পরিবারের বসবাস। এই পাড়ার বাসিন্দারা প্রায় সকলেই দীর্ঘদিন ধরে তালপাতার হাতপাখা তৈরি করে আসছেন। অধিকাংশই জনমজুর। জনমজুরি করে অবসর সময়ে পরিবারের পুরুষ ও মহিলা সকলেই তালপাতার হাতপাখা তৈরি করেন। হাতপাখার পাশাপাশি তালপাতার তৈরি অন্যান্য সামগ্রী যেমন টকুই, পুজো দেওয়ার ঝুড়িও তৈরি করেন। সেসব তৈরি করে কেউ সরাসরি বাজারে বিক্রি করেন। কেউ পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিক্রি করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ডাকাতদেরও সামনে আনতে হবে’, প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে দাবি দিলীপের]

বাগটোনার বাহিন্দারা জানান, ফাল্গুন মাস পড়তেই গ্রামে ঘরে ঘরে তালপাতার পাখা বুনতে ব্যস্ত থাকেন বাড়ির পুরুষ থেকে মহিলারা। চৈত্র মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, ভাতার, বর্ধমান ছাড়িয়ে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় পাখা বিক্রি করেন। এবছর বিক্রিও ভাল বলে স্থানীয়রা জানান। গ্রামবাসী সন্তোষী থাণ্ডার, বিমল থাণ্ডাররা বলেন, “সারাবছরই তালপাতার কাজ করি। রোজ অল্প অল্প করে পাখা তৈরি করে জমা করে রাখি। তরপর গরমের মরশুম আসতেই বিক্রি শুরু হয়। এবার প্রচুর গরম পড়েছে। তালপাতার হাত পাখার চাহিদা বেড়েছে।”

তবে বর্তমানে বাজারদর বাড়লেও হস্তশিল্পীরা উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। বাগটোনার থাণ্ডারপাড়ার বাসিন্দারা জানান, একটি তালগাছ পিছু ১০০ টাকা তাদের দিতে হয় গাছমালিককে। পাতা পাড়তে খরচ লাগে। সে তুলনায় একটি পাখা বিক্রি করে মাত্র ১০ টাকা পাওয়া যায়। তাই এই শিল্প বাঁচিয়ে রাখাও তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। বাগটোনা-সহ শ্রীখণ্ড অঞ্চল এলাকায় রয়েছে প্রচুর তালগাছ। তালগাছ থেকে তালপাতা পেরে প্রথমে রোদে শুকনো হয়। তারপর সেগুলি পাখার আকৃতি দেওয়া হয়। আকর্ষণীয় করে তুলতে রং দিয়ে রঙিন করে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, একটা গাছ থেকে যা পাতা একবার পাওয়া যায় তাতে গড়ে ৫০টি পাখা তৈরি করা যায়। সারাদিনে ৪০ থেকে ৪৫টা পাখা তৈরি করে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। বাজারে পাইকারি দরে ৭ থেকে ৯ টাকায় পাখা বিক্রি হয়। আর খুচরো ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হয়।

[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার বাজার বন্ধ করে ভালবাসার দোকান খুলল কর্ণাটক’, বিপুল জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া রাহুলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement