শুভময় মণ্ডল: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অটুট রাখতে সাক্ষাৎ দেবদূতের ন্যায় দেখা দেন তাঁরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দিতে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফানের ভ্রুকুটি যখন বাংলার উপকূল অঞ্চলে, তখনও দুর্যোগ উপেক্ষা করে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ নিলেন হ্যাম রেডিও অপারেটররা। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত এলাকাতেও অস্থায়ী রেডিও স্টেশন তৈরি করে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা অটুট রাখার ব্যবস্থা করলেন অপারেটররা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস জানিয়েছেন, কাকদ্বীপ, গোসাবা, লট ৮, মৌসুনি দ্বীপ-সহ সুন্দরবন ও লাগোয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট ৯টি বেস স্টেশন বানিয়েছেন হ্যাম রেডিও অপারেটররা। তিনি নিজে কন্ট্রোল রুমে বসে সব কিছু তদারকি করছেন। রাজ্য প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে দুর্যোগের মধ্যেও সাধারণ মানুষের যোগাযোর অটুট থাকে তার জন্য তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করতে প্রস্তুত। ৪টি মোবাইল ভ্যান রয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য। গঙ্গাসাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় এই মোবাইল ভ্যানগুলি ঘুরে বেড়িয়েছে মঙ্গলবার দিনভর। সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করার মাইকিং করেছেন অপারেটররা।
অম্বরীশবাবু জানিয়েছেন, ‘এই করোনা আবহে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ ঘূর্ণিঝড় ‘আমফানের মোকাবিলা করা। আমরা সবাই এই জৈব বিপর্যয়ের মধ্যেও চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। উপকূল এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাইকিং করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সতর্ক করা সবই করছি। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, দুই বিপর্যয়কে একসঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.