Advertisement
Advertisement
হলদিয়া কাণ্ড

মায়ের সঙ্গে সাদ্দামের ঘনিষ্ঠতা মানতে পারেননি রিয়া, হলদিয়া কাণ্ডে নয়া তথ্য পেল পুলিশ

সাদ্দামের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া রিয়ার ডায়েরি থেকেই নয়া তথ্য পেল পুলিশ।

Haldia murder case: Girl didn't accepts mother and saddam's relationship
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 29, 2020 12:34 pm
  • Updated:February 29, 2020 2:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলদিয়া হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। যত ঘটনার গভীরে ঢুকছে, ততই নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত দুর্গাচকের নিউ কলোনির বাসিন্দা সাদ্দামের ভাড়াবাড়িতে ফরেনসিক দলের বিশেষজ্ঞরা যান। তার বাড়ি থেকে রিয়ার ডায়েরি এবং স্কুলের খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ডায়েরি পড়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এদিকে, ধৃত শুকদেব দাসও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলা মাধ্যম একটি স্কুলে ২০১৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন রিয়া। তবে ইংরাজি এবং হিন্দি ভাষাতেও সমান সাবলীল ছিলেন তিনি। তাই বাংলা, ইংরাজি এবং হিন্দি তিনটি ভাষাতেই ডায়েরি লিখতে অভ্যস্ত ছিলেন রিয়া।

Advertisement

riya-2

অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই সাদ্দামের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রিয়া।

saddam-3

তবে বেশ কয়েকদিন পরেই রিয়া তাঁর মাকেও সন্দেহ করতে শুরু করেন। ভাবতে শুরু করেন, তাঁর মা রমা ক্রমশ সাদ্দামের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছেন। তবে সাদ্দামের সঙ্গে মায়ের ঘনিষ্ঠতা যে ভাল চোখে দেখছেন না রিয়া, তা হাবেভাবে মাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

Haldia

এদিকে, আবার সাদ্দামও রিয়া এবং তাঁর মা রমাকে সন্দেহ করতে শুরু করেন। বুঝতে পারেন মা-মেয়ের অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তার ফলে সাদ্দাম, রিয়া এবং রমা ওই তিনজনেরই একে-অপরের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। তাই ক্রমশ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল সাদ্দাম। তবে তাতে অশান্তির সূত্রপাত। তারপরই সাদ্দামকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন রিয়া ও রমা।

saddam-2

[আরও পড়ুন: ভরা বসন্তে রাজ্যে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা, জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]

এদিকে, ধৃত সাদ্দাম, শুকদেব এবং মনজুরকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। তাতেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ধৃতরা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিনের বন্ধু।

Haldia-murder

পুলিশ সূত্রে খবর, বাসুদেবপুরের ভাড়াবাড়িতেই রিয়া এবং রমাকে খুন করে সাদ্দাম। শ্বাসরোধ করে তাদের খুনের পর রমার দেহ একটি কম্বলে জড়িয়ে গাড়ির ডিকিতে রাখা হয়। একটি ব্যাগের ভিতরে ঢুকিয়ে রিয়ার দেহ রাখা হয় গাড়ির পিছনের সিটে। সাদ্দামের বন্ধু মনজুরের বাড়ি হলদিয়ার ঝিকুরখালিতে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করেই ঝিকুরখালির কাছে হুগলি নদীর চরে নিয়ে আসা হয় মা-মেয়ের দেহ। এরপর প্রমাণ লোপাট করার জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় দু’টি দেহ। শুকদেব এবং মনজুর দু’জনেই সাদ্দামকে খুনের প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছিল বলেই পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে।

Haldia

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement