চঞ্চল প্রধান ও রঞ্জন মহাপাত্র: হলদিয়া রিফাইনারিতে (Haldia IOC Fire) মৃত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াল কর্তৃপক্ষ। মৃতদের পরিবারকে মোট ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি হয়েছে তারা। কর্তৃপক্ষের সংঙ্গে আলোচনার পর বুধবার দুপুরে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। মন্ত্রী জানান, “কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই রিফাইনারি কর্তৃপক্ষ ৫ লক্ষ টাকা এবং ঠিকা সংস্থা আরও ৫ লক্ষ টাকা, মোট ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করতে রাজি হয়েছে।”
এদিন হলদিয়া রিফাইনারিতে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির দাবিতে সরব হয়েছিল কর্মচারী ইউনিয়ন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংস্থার মূল ফটকের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁরা হলদিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা আটকে দেয়। তাই গেটের বাইরেই চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। অগ্নিকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী, তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা।
সংস্থার কাছে শ্রমিক সংগঠনের দাবি, হলদিয়া রিফাইনারিতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৩ শ্রমিকের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করতে হবে। আইওসি-তেই স্থায়ী চাকরি দিতে হবে পরিবারের এক সদস্যকে। পাশাপাশি, মৃতদের সন্তানদের শিক্ষার খরচ বহন করতে হবে সংস্থাকেই। জখম শ্রমিকদের পরিবারকে অন্তত ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছে সংগঠন। এ প্রসঙ্গে হলদিয়া রিফাইনারির শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মিন্টু সামন্ত বলেন, “গতকাল সংস্থায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মকড্রিল ছিল। দেখা হচ্ছিল যাতে শাট ডাউনের পর কোনও অঘটন না ঘটে। এর ঠিক একঘণ্টার মধ্যে দেখলাম, ন্যাপথার এমএসটি ইউনিটে আগুনের ফুলকি বের হল। যারা এর জন্য দায়ী তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।” পাশাপাশি, আহত ও মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে আজই আইওসি-তে আসছে ফরেনসিক দল। দিল্লি থেকে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সদস্যরাও আসবেন। আইওসি-র ন্যাপথা ইউনিটের শাট ডাউনের কাজ এদিন বন্ধ রাখা হয়। এদিকে হলদিয়া রিফাইনারির হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকদের সামান্য অয়েলমেন্ট মাখিয়ে সংস্থার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু দগ্ধ শ্রমিককে কলকাতায় পাঠানো হয়। রাস্তায় তাঁদের বিপদ ঘটে যেতে পারত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.