রিঙ্কি দাস ভট্টাচার্য: উত্তরবঙ্গে আছড়ে পড়বে কালবৈশাখী। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে দুই এক পশলা বৃষ্টিও হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর সহ মালদহ, বীরভূম মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায়। বর্ধমান, নদিয়াতেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
[মনোনয়ন পেশকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ কাটোয়া, দাঁইহাটে তৃণমূল-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধ]
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের আকাশে আবার ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের উপর বিস্তৃত রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই দুই প্রাকৃতিক অনুষঙ্গই ঝড় বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কালবৈশাখীর জন্ম হয় মূলত ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহারের মালভূমি এলাকায়৷ এসব জায়গায় একাধিক মেঘপুঞ্জ তৈরি হওয়ার পর যদি কখনও একসঙ্গে মিলে যায়, তখনই কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ কারণেই কালবৈশাখীর দেখা বৃহস্পতিবার পাবেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা।
[পেনশন না ভালবাসা! কিসের টানে তিন বছর মায়ের দেহ আগলে রাখলেন শুভব্রত?]
এদিকে গত রবিবার সন্ধ্যায় শহরের উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী৷ একাধিক জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। বৃষ্টির জেরে শহরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু সোমবার থেকেই ফের চড়া রোদের জ্বালায় ভুগছে শহরবাসী। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫.৬ ডিগ্রি (স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি)। গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ বলাই চলে। তবে হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই গরম খুব বেশি সময় স্থায়ী হবে না। কারণ সপ্তাহান্তে ফের বৃষ্টির দেখা পেতে পারেন শহরবাসী। এর ফলে ফের কমতে পারে শহরের তাপমাত্রা। ক্ষণিকের স্বস্তি পেতে পারেন কলকাতার বাসিন্দারা।
[দলিত বিক্ষোভের আঁচ হৃদয়পুরে, অবরোধে বিঘ্নিত বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.